বাজেটের পর দুদিনে ২.৫% কমেছে ডিএসইর সূচক
বাজেটের পর দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। তাতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩১ পয়েন্ট বা আড়াই শতাংশ কমে গেছে। এর মধ্যে আজ সোমবার এক দিনেই কমেছে ৬৬ পয়েন্ট বা সোয়া ১ শতাংশের বেশি।
গত দুই দিনের বড় দরপতনের ফলে ডিএসইএক্স সূচকটি আজ দিন শেষে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৬ পয়েন্টে। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিলের পর এটিই ডিএসইএক্স সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। ওই দিন ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ৮৯ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।
গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছেন, তাতে শেয়ারবাজারের ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মূলধনি মুনাফা বা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করারোপ করা হয়। ৫০ লাখ টাকার বেশি মূলধনি মুনাফা করলে এ করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। এই পদক্ষেপের পর বাজেট–পরবর্তী দুই কার্যদিবসে বড় ধরনের পতন হয় বাজারে।
বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমনিতে শেয়ারবাজারে দীর্ঘদিন ধরে মন্দাভাব চলছে। তার ওপর বাজেটের নতুন এ পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি হতাশ করেছে। ফলে বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা সুযোগ পেলেই শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ ছাড়া টানা দরপতনে অনেক শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। এ কারণে ঋণদাতা অনেক প্রতিষ্ঠান ঋণ সমন্বয় করতে জোরপূর্বক শেয়ার বিক্রি বা ফোর্সড সেল করছে। দুই কারণে বাজারে ক্রেতার চেয়ে এখন বিক্রেতা বেশি।
ঢাকার বাজারে আজ লেনদেন হওয়া ৩৯১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪২টি বা ৮৭ শতাংশেরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ২৬টির বা ৭ শতাংশের আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির বা ৬ শতাংশের দাম। শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমে গেছে ঢাকার বাজারে। আজ সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩১৯ কোটি টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ৩৯ কোটি টাকা কম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটিও আজ ১৬২ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমে গেছে। সেখানকার বাজারে এদিন লেনদেন হয় ২৩ কোটি টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ৮৫ কোটি টাকা কম। চট্টগ্রামের বাজারে আজ লেনদেন হওয়া ২১৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৭টি বা ৭৮ শতাংশেরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে ২২টির বা ১০ শতাংশের আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির বা ১২ শতাংশের।