হালাল পণ্যের বৈশ্বিক বাজার বড় হচ্ছে

বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে। দিন দিন বড় হচ্ছে এ বাজার। কিন্তু বাংলাদেশের অংশ এতে সামান্যই। অথচ আগামী ২০ বছরে বিশ্বে মুসলিম জনগোষ্ঠী বাড়বে ৩৫ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার বড় হবে আরও। এত বড় বাজারে বাংলাদেশি হালাল পণ্যের জায়গা করে নিতে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।

ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘হালাল পণ্যসহ সব পণ্যের সার্টিফিকেশন সক্ষমতা ও হালাল পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক রুমানা হক। একই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ছিলেন কর্মশালার সঞ্চালক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায়।

প্রবন্ধে বলা হয়, মুসলিমদের পাশাপাশি অমুসলিমদের মধ্যেও জনপ্রিয় হচ্ছে হালাল পণ্য। ২০২৪ সালের মধ্যে হালাল পণ্যের বৈশ্বিক বাজার হবে ১০ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারের। আগামী পাঁচ বছরে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হারে চক্রবৃদ্ধি আকারে বাড়বে এ বাজার।

মূল প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে হালাল পণ্য রপ্তানি হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি কমিটি হালাল পণ্যের সনদ দিচ্ছে। পণ্য উৎপাদনের দুটি দিক রয়েছে—ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক। তবে বাংলাদেশের হালাল পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। দখল করতে হবে হালাল পণ্যের রপ্তানি বাজার। সম্ভাব্য রপ্তানি পণ্য হচ্ছে শাকসবজি, ফলমূল, মসলা, গরুর মাংস, মাছ, ওষুধ, হিমায়িত খাদ্য, হিমায়িত মুরগির মাংস এবং মুরগির মাংসে তৈরি বিভিন্ন পণ্য।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘২০২৪ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। তখন রপ্তানি বাণিজ্যে জিএসপি সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা না-ও থাকতে পারে। রপ্তানির জন্য এটা আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য নতুন রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। হালাল পণ্যসহ সব পণ্যের সার্টিফিকেশন সক্ষমতা অর্জন ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।’

সচিব জাফর উদ্দীন আরও বলেন, পেশাদারির মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেলে হালাল পণ্যের বিশ্ববাজারে বড় অবদান রাখতে পারবে বাংলাদেশ। তবে নিজেদের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে। পর্যাপ্ত হালাল পণ্য এবং দক্ষ জনবল রয়েছে, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ জনবল গড়ে তোলারও সুযোগ রয়েছে। হালাল পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তাও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বিদেশে দূতাবাসগুলোকেও কাজে লাগানো যেতে পারে।