আবারও এক দিনে তিন রেকর্ড শেয়ারবাজারে

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও আজ সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি রেকর্ড হয়েছে। বাজার মূলধন ও প্রধান দুটি সূচক আজ লেনদেন শেষে রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। এর আগে সর্বশেষ গত ১৯ জুলাই বাজার মূলধন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল। আর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯ জুলাই ও ডিএস–৩০ সূচক ২৫ জুলাই রেকর্ড উচ্চতায় ছিল।
বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশির ভাগ শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ রেকর্ড হয়েছে। সূচকের পাশাপাশি আজ লেনদেনেও ছিল বেশ ভালো গতি। তার সুফল দিন শেষে পড়েছে বাজার মূলধন ও সূচকে।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ ৫৬ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৪৮২ পয়েন্টে। আর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি এ দুটি সূচক চালু হয়েছিল। চালু হওয়ার প্রায় সাড়ে আট বছর পর এসে আজ সূচক দুটি সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে।

এ ছাড়া ডিএসইর বাজার মূলধন আজ এক দিনেই ৩ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৩১ কোটি টাকায়। এটিই ঢাকার বাজারের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বাজার মূলধন।

ডিএসইর দুটি সূচক ও বাজার মূলধন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাওয়ায় এখন সূচক দুটি সামান্য বাড়লেই প্রতিদিনই রেকর্ড হবে। আর বড় মূলধনীসহ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লে রেকর্ড উচ্চতায় উঠবে বাজার মূলধন।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ঢাকার বাজারে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স একবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৩৩৭ পয়েন্টের রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছিল। সেখান থেকে কমতে কমতে ২০২০ সালের মার্চে করোনার জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে সূচকটি সর্বনিম্ন ৩ হাজার ৬০০ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল।

এ অবস্থায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেতৃত্বে বদল আসে। বিএসইসিতে নতুন নেতৃত্ব দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের জুলাই থেকে বাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসে। তাতেই এখন প্রতিদিন রেকর্ড হচ্ছে সূচক ও বাজার মূলধনে। পাশাপাশি প্রায় দুই মাস পর আবারও লেনদেন ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা, যা গত ১০ জুনের পর সর্বোচ্চ। এর আগে ১০ জুন ২ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।