আলহাজ টেক্সটাইলে নতুন তিন পরিচালক নিয়োগ বিএসইসির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলহাজ টেক্সটাইলে নতুন করে তিনজন নতুন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটির সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত আলাদা দুটি আদেশ জারি করেছে।

বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, আর্থিক সামর্থ্য থাকার পরও কোম্পানিটি দুই বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি। এক বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটি ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত। কিন্তু কোম্পানির অবস্থার উন্নয়নে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিএসইসি কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে তিনজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। বিএসইসি বলছে, এঁরা কোম্পানিটির বর্তমান অবস্থার উন্নয়নে কাজ করবেন।

বর্তমানে আলহাজ টেক্সটাইলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোম্পানিটির পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে এটির পরিচালনার জন্য নতুন যে তিনজন পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের অধ্যাপক কে এম সালাউদ্দিন ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মেলিটা মেহজাবিন।

আলহাজ টেক্সটাইলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন ডিএসইর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বোখারি। শেয়ারবাজারের লোক হয়েও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করায় বিএসইসি কোম্পানিটিতে তিনজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া কোম্পানিটির কার্যক্রম তদারকির জন্য বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্যের মধ্যে আছেন কোম্পানিটিতে বিএসইসি নিযুক্ত পরিচালক শফিকুল ইসলাম ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।

বিএসইসি কোম্পানিটির সার্বিক কার্যক্রম যাচাইয়ে বিশেষ নিরীক্ষা করানোরও উদ্যোগ নেয়। সেই সঙ্গে কোম্পানিটির বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেওয়া কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় কোম্পানিটির সব ধরনের সম্পদের ওপর বিক্রি, স্থানান্তর, বিক্রয় ও রূপান্তরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।