ইউনাইটেড এয়ারকে ওটিসিতে স্থানান্তর

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ উড়ছে না বহুদিন। এটি এখন নামসর্বস্ব কোম্পানি।
ছবি: সংগৃহীত

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ারকে মূল বাজার থেকে ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) বাজারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর ফলে কাল বুধবার থেকে ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ার আর মূল বাজারে লেনদেন হবে না। তার বদলে লেনদেন হবে ওটিসি বাজারে। আজ মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর করতে আজই দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়।

২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানির বিমান পরিবহন সেবা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এটি এখন নামসর্বস্ব কোম্পানি। দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিচ্ছে না কোম্পানি। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) আজ ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ারের দাম ছিল ১ টাকা ৯০ পয়সা। আজ ডিএসইতে এটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০ পয়সা। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানির বিমান পরিবহন সেবা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এটি এখন নামসর্বস্ব কোম্পানি। দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিচ্ছে না কোম্পানি। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় কোম্পানিটিকে ওটিসি বাজারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ারের সিংহভাগেরই মালিকানা এখন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে আছে মাত্র আড়াই শতাংশ শেয়ার।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ইউনাইটেড এয়ারের শেয়ারের সিংহভাগেরই মালিকানা এখন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানের হাতে। কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে আছে মাত্র আড়াই শতাংশ শেয়ার। অথচ আইন অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে সম্মিলিতভাবে সব সময় ওই কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকা বাধ্যতামূলক। আর পরিচালকদের হাতে এককভাবে সব সময় ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা এ আইন লঙ্ঘন করে তাঁদের হাতে থাকা সব শেয়ার গোপনে বাজারে বিক্রি করে দেন।

মূল বাজারে সব সময় শেয়ারের কমবেশি ক্রেতা-বিক্রেতা থাকলেও ওটিসি বাজারে শেয়ারের কেনাবেচা হয় খুব কম। এ কারণে ওটিসি বাজারে থাকা কোম্পানির শেয়ারের খুব বেশি লেনদেনও হয় না।