ইলিশও পাচার হচ্ছে ভারতে

প্রতীকী ছবি

চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পথে পাচার হয়ে আসা ৪ হাজার কেজির বেশি বাংলাদেশি ইলিশ ধরা পড়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফয়ের হাতে। সম্প্রতি বিএসএফয়ের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের হাতে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা ৩ হাজার ৮৮৮ কেজি ইলিশ ধরা পড়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬ জন ভারতীয় পাচারকারী।

এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীন সীমান্ত এলাকায় ধরা পড়েছে ৫০০ কেজি ইলিশ। এই ফ্রন্টিয়ারের সীমান্ত এলাকা হলো মালদহ ও মুর্শিদাবাদ। আর দক্ষিণবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাচার হয়ে এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এবং বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে। এ ছাড়া এই বনগাঁও এবং বসিরহাট মহকুমার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত সীমান্ত নদী ইছামতী দিয়েও পাচারকারীরা ইলিশ পাচার করছে নদীপথে।

দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলারিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, চলতি মৌসুমে যে পরিমাণ ইলিশ ওপার থেকে এপারে চোরাইপথে এসেছে তা আগে কখনো হয়নি। তবে উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পাচারের পরিমাণ কম। এখন অবশ্য দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সীমান্ত এলাকা ইলিশ পাচারের অন্যতম করিডর হিসাবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। সব মিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত এই রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে চোরাইপথে আসা ইলিশ ধরা পড়েছে ৪ হাজার ৩৮৮ কেজি।

এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে কলকাতায় সরকারিভাবে আসা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ । বাংলাদেশ সরকার আসন্ন দুর্গাপূজার কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গে ১ হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। সেই লক্ষ্য নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ইলিশ আসে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলসীমান্ত পথে। প্রথম দিন আসে ২০ টন ইলিশ। ওই দিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইলিশ আসছে কলকাতায়। গতকাল সোমবার পর্যন্ত কলকাতায় ইলিশ এসেছে ৭৭৫ টন। আজ মঙ্গলবার আসছে আরও ৭০ টন। আর বাকি সব ইলিশ কলকাতায় চলে আসবে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে।

কলকাতার ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে জানান, এখন বাংলাদেশের ইলিশের দাম কলকাতায় কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ৭৭৫ টন ইলিশ কলকাতায় এসেছে। আজ মঙ্গলবার আসছে আরও ৭০ টন ইলিশ।