গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে বেশি কমেছে ভালো কোম্পানির লেনদেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন কমেছে ভালো মানের কোম্পানির। ভালো মৌলভিত্তির ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেন গত সপ্তাহে ২৭ শতাংশ কমে গেছে। তার বিপরীতে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার তথ্য পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

নতুন তালিকাভুক্ত ‘এন’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেন গত সপ্তাহে ৫১ কোটি টাকা বা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে ‘এন’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬১ কোটি টাকা।

ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহে ‘এ’ শ্রেণির সব কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে ভালো মৌলভিত্তির এ শ্রেণির কোম্পানির লেনদেন ১ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ কমে গেছে। আর মধ্যম মানের ‘বি’ শ্রেণির কোম্পানিগুলোর লেনদেন এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ কোটি টাকা বা সোয়া ২ শতাংশ কমেছে।

ঢাকার বাজারে গত সপ্তাহে ‘এ’ শ্রেণির সব কোম্পানির সম্মিলিত লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২১ কোটি টাকা।

নতুন তালিকাভুক্ত ‘এন’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত লেনদেন গত সপ্তাহে ৫১ কোটি টাকা বা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে ‘এন’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬১ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ১১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া জাঙ্ক বা মানহীন কোম্পানি হিসেবে পরিচিত ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনেও খুব বেশি হেরফের হয়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ বা ২ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানিগুলোর।

‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির লেনদেন কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক লেনদেনেও। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ হাজার ২৬৬ বা ২০ শতাংশ কমে গেছে।

বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য পাঁচটি শ্রেণি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে এ, বি, জি, এন ও জেড শ্রেণি। এর মধ্যে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ২৮০, ‘বি’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৫৭, ‘এন’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানি ১২টি ও ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৩৩। বর্তমানে ‘জি’ শ্রেণিভুক্ত কোনো কোম্পানি নেই। গ্রিনফিল্ড কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকেই এই শ্রেণিভুক্ত করা হয়।

এদিকে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির লেনদেন কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক লেনদেনেও। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর মোট লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ১ হাজার ২৬৬ বা ২০ শতাংশ কমে গেছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা।