ডিএসইর লেনদেন এক মাস আগের অবস্থানে

দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল বুধবার আবারও বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৪ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমেছে। সেই সঙ্গে লেনদেন নেমেছে ৬০০ কোটি টাকার নিচে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি কমেছে ২৪৭ পয়েন্ট বা দেড় শতাংশ।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দরপতনের আতঙ্ক ভর করেছে। তাই এখন ছোট ও মাঝারি শ্রেণির বিনিয়োগকারীরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে ব্যক্তিশ্রেণির উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারীরা এ পতনের মধ্যেও একটু একটু করে শেয়ার কিনছেন। গতকালের দরপতনের পেছনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপও বড় ভূমিকা রেখেছে বলে বাজারসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিকসহ ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের কারণে সূচকের বড় ধরনের পতন ঘটে। এ কারণে ডিএসইর বাছাই করা ৩০ কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি কমেছে সর্বাধিক। গতকাল এক দিনেই ডিএস-৩০ সূচকটি প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। এ সূচকে অন্তর্ভুক্ত ৩০ কোম্পানির মধ্যে গতকাল লেনদেন হয়েছে ২৯টির। তার মধ্যে ২৪টিরই দাম কমেছে। বেড়েছে কেবল ৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২টির দাম।

ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম গতকাল এক দিনে সাড়ে ৫ টাকা বা প্রায় সোয়া ৭ শতাংশ কমে নেমে এসেছে ৭১ টাকা ৫০ পয়সায়। এতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম প্রায় দেড় মাস আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। এর আগে সর্বশেষ গত ৮ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা। গতকাল ডিএসইতে দর কমার দিক থেকে শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। দরপতনের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকলেও লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানটি ধরে রেখেছে কোম্পানিটি।