তিন কারণে সূচক কমেছে শেয়ারবাজারে

  • দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৪২ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমেছে।

  • বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে গত দুদিনের সূচক ও লেনদেন কমে যাওয়ার তিনটি প্রধান কারণ জানা গেছে।

  • একজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকার শেয়ারের আবেদন করতে পারবেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ সেখানে বিনিয়োগ করায় সেকেন্ডারি বাজারে তার কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

তিন কারণে শেয়ারবাজারের সূচক কমেছে গতকালও। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৪২ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি বেড়েছে ১৫০ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা চার দিন শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচকটি আবারও পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গেছে। সূচকের পাশাপাশি দুই বাজারে লেনদেনও কমে গেছে।

বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে গত দুদিনের সূচক ও লেনদেন কমে যাওয়ার তিনটি প্রধান কারণ জানা গেছে। এগুলো হচ্ছে

  • বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের দর প্রস্তাব শুরু হওয়া,

  • সূচকের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার করা নতুন ঋণ নিয়ম নিয়ে বিভ্রান্তি ও বিদেশিদের বিক্রির চাপ কিছুটা বেড়ে যাওয়া।

  • গত সোমবার থেকে এনার্জিপ্যাকের দর প্রস্তাব শুরু হয়েছে। এতে একজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকার শেয়ারের আবেদন করতে পারবেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ সেখানে বিনিয়োগ করায় সেকেন্ডারি বাজারে তার কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

আবার নতুন ঋণ নিয়ম নিয়েও কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। সূচক যত বাড়বে, ঋণ তত কমবে—এমন বিধানের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ মনে করছেন সূচক বেড়ে গেলে শেয়ার বিক্রি করে ঋণও সমন্বয় করা হবে।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, এ ধারণা ঠিক নয়। সূচক বাড়তে থাকলে বিনিয়োগকারী স্বেচ্ছায় শেয়ার বিক্রি না করা পর্যন্ত ঋণ সমন্বয় হবে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

গতকাল বাজারে বেশ কিছু বড় ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। এর ফলেও বাজারে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

একটানা সূচক অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল। তাতে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হয়েছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ এনার্জিপ্যাকের দর প্রস্তাবে অংশ নিচ্ছেন।
ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, একটানা সূচক অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল। তাতে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হয়েছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ এনার্জিপ্যাকের দর প্রস্তাবে অংশ নিচ্ছেন। তাই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কয়েক দিনে কিছুটা কমেছে।