তিন দিন পর সূচকের উত্থানে লেনদেন শেয়ারবাজারে

  • আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১ পয়েন্ট।

  • গতকাল দরপতনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৯টিই ছিল বিমা কোম্পানি। সেই সঙ্গে বিমা খাতের লেনদেন হওয়া ৯৬ শতাংশ শেয়ারেরই দরপতন ঘটে।

  • সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, ফনিক্স ইনস্যুরেন্স, নর্দান ইনস্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, নিটোল ইনস্যুরেন্স ও প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে। এসব শেয়ারের বেশির ভাগেরই শেষ ঘণ্টায় চরম ক্রেতাসংকট দেখা দেয়।

টানা তিন দিন পতনের পর শেয়ারবাজারে সূচক বাড়তে দেখা যাচ্ছে আজ। আজ মঙ্গলবার সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২১ পয়েন্ট। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

গত তিন দিন কার্যদিবস ধরে সূচক কমেছে ডিএসইতে। তিন দিনে ডিএসইএক্স হারিয়েছে ১২৪ পয়েন্ট। আজও লেনদেনের শুরুতে কিছুটা কমলেও পরে বাড়তে থাকে ডিএসইএক্স। বেলা ১১টা নাগাদ মোট লেনদেন হয়েছে ২০৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ৬১টির, অপরিবর্তিত আছে ৮০ টির দর।

গতকাল সোমবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ৪৯ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমে নেমে আসে ৪ হাজার ৮১০ পয়েন্টে। সিএসইতেও সার্বিক সূচকটি গতকাল এক দিনে ১৩৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশের মতো কমে।

ঢাকার বাজারে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৯৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা কম। শুধু তা-ই নয়, দুই মাসের বেশি সময় পর গতকাল ঢাকার বাজারে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট ডিএসইতে ৬৭৭ কোটি টাকার সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছিল। ঢাকায় লেনদেন কমলেও চট্টগ্রামের বাজারে এদিন লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। সেখানকার বাজারে দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি টাকা বেশি।

গতকাল দরপতনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে ৯টিই ছিল বিমা কোম্পানি। টানা বেশ কিছুদিন মূল্যবৃদ্ধির পর গতকালই বিমা খাতের সব শেয়ারের বড় ধরনের দরপতন দেখা যায়। এদিন লেনদেন হওয়া বিমা খাতের ৪৮ কোম্পানির মধ্যে ৪৬টিরই দাম কমেছে, বাকি দুটির দাম অপরিবর্তিত ছিল। সেই হিসাবে গতকাল বিমা খাতের লেনদেন হওয়া ৯৬ শতাংশ শেয়ারেরই দরপতন ঘটে।

সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, ফনিক্স ইনস্যুরেন্স, নর্দান ইনস্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, নিটোল ইনস্যুরেন্স ও প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে। এসব শেয়ারের বেশির ভাগেরই শেষ ঘণ্টায় চরম ক্রেতাসংকট দেখা দেয়।

এর মধ্যে সোনার বাংলা ইনস্যুরেন্স, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, ফনিক্স ইনস্যুরেন্স, নর্দান ইনস্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, নিটোল ইনস্যুরেন্স ও প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের সর্বোচ্চ দরপতন ঘটে। এসব শেয়ারের বেশির ভাগেরই শেষ ঘণ্টায় চরম ক্রেতাসংকট দেখা দেয়।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক দিনে বিমা খাত পুরো বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। টানা ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশ বিমা খাতের শেয়ারের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। এ সুযোগে বিমা খাতের অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। ভালো শেয়ারের বিনিয়োগ করে প্রতিদিন দাম কমতে দেখে অনেকে হতাশায় হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে দেন। এতে এসব কোম্পানির শেয়ারের দরপতন ঘটে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাজারে। এতে সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমে যায়।