দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস হবে পুঁজিবাজার

দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় পুঁজিবাজার ও রাজস্ব সংগ্রহ—দুটি জায়গাতেই পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, পুঁজিবাজার তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারছে না। বড় ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাংকের পরিবর্তে পুঁজিবাজারের মাধ্যমেই অর্থায়ন হবে—এটা হতে পারে বড় সমাধান।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ কথা বলা হয়। চিকিৎসার জন্য দুবাইয়ে অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্থাটির কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আরেক কমিশনার মিজানুর রহমান।

মূল প্রবন্ধে দেশের পুঁজিবাজারকে ‘অনুন্নত’ আখ্যা দিয়ে বলা হয়, নতুন কমিশন পুঁজিবাজারকে উজ্জীবিত ও গতিশীল করতে এবং সত্যিকারের পুঁজিবাজারে পরিণত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ জন্য কিছু সংস্কারে হাত দিয়েছে তারা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রিজার্ভ বাড়ছে, প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। তবে পুঁজিবাজার শক্তিশালী না হলে বোঝা যাবে যে অর্থনীতি পিছিয়ে আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কোনো কাজ যদি পুঁজিবাজারের স্বার্থবিরোধী হয়, তবে শিগগির পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান মুস্তফা কামাল।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এক দশকে দেশের যে উন্নতি হয়েছে, তার সঙ্গে কর-জিডিপি ও পুঁজিবাজার জিডিপি অসংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এখনকার বিএসইসির সমন্বয়টা ভালো। তবে এনবিআরের সঙ্গে সমস্যা রয়েই গেছে। তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন মাত্র ১ শতাংশ শেয়ার ছেড়েছে জনগণের জন্য। এটা কি হওয়া উচিত—তাঁর প্রশ্ন।