দুই কারণে শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক ও ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ ২৫ কোম্পানিকে দেওয়া চিঠি—এ দুই সিদ্ধান্তে শেয়ারবাজারে আজ মঙ্গলবার সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তাতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আবারও ৭ হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়িয়েছে।

লেনদেন শেষে আজ মঙ্গলবার ডিএসইএক্স সূচকটি ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৪৯ পয়েন্টে। এর আগে সর্বশেষ এ সূচক গত ২৩ নভেম্বর ৭ হাজার ১৩ পয়েন্টে ছিল। বাজারসংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজকের বাজারে সূচকের বড় উত্থানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক ও বিএসইসির একটি চিঠি বড় ভূমিকা রেখেছে। পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটি আজ বাংলাদেশ ব্যাংক ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পুঁজিবাজার–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। তবে বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তাদের কেউ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কিছু জানাননি। যদিও এ বৈঠককে কেন্দ্র করে বেশ কয়েক দিন ধরে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বেশ আলোচনা চলছিল। আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

এদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন, সে রকম ২৫টি কোম্পানিকে শর্তপূরণে এক মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। বিএসইসির এ উদ্যোগের প্রভাব পড়েছে আজকের বাজারে। যেসব কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন, সেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি লেনদেন হওয়া অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারেরও মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। এতে দিন শেষে সূচকের বড় উত্থান হয়।

ঢাকার বাজারে আজ লেনদেন হওয়া ৩৭৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৪টিরই দাম বেড়েছে। কমেছে ৬৯টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩২টির দাম। দিন শেষে ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৩১ কোটি টাকার, যা আগের দিনের চেয়ে ৪৪৪ কোটি টাকা বেশি।