নগদ লভ্যাংশ ১৫ শতাংশের বেশি নয়

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক কোম্পানিগুলো এ বছর শেয়ারধারীদের ১৫ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লভ্যাংশের এ হার বা সীমা বেঁধে দিয়েছে। গতকাল বুধবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়া যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান রাখতে ব্যর্থ হয়ে ঘাটতি সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বাড়তি সময় নিয়েছে, তারা সম্পূর্ণ অর্থসংস্থানের আগে কোনো ধরনের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বোনাস বা স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।

এ ছাড়া যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না। আবার যেসব প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততার হার ১০ শতাংশের কম ও খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানও শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার আগেই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আইডিএলসি ফিন্যান্স ২০২০ সালের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার পর এখন ঘোষিত এ লভ্যাংশের কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানতে চাইলে আইডিএলসি ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠান যখন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তখন এ ধরনের কোনো বিধান ছিল না। এখন নতুন বিধান করায় বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করব।’