নতুন আলু-পুরোনো আলু, ৫০-৫০

বাজারে প্রায় এক মাস ধরে উঠেছে নতুন আলু, শুরুতে দাম ছিল প্রতি কেজি ১০০-১৩০ টাকা। গত এক মাসে দাম কমতে কমতে অবশেষে দাম এসে পৌঁছেছে প্রতি কেজি কম-বেশি ৫০ টাকায়। পুরোনো আলুর দাম নিয়ে এ বছর বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ ক্রেতাকে। গত অক্টোবরে আলুর দাম ওঠে প্রতি কেজি ৫০ টাকায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার দুই পর্যায়ে আলুর দাম বেঁধে দেয়। এরপরও রোববার ঢাকার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুরোনো আলুর দাম ৫০ টাকা।
সাধারণত বছরের এমন সময়ে বাজারে নতুন আলু ওঠে। এতে কমে যায় আলুর দাম। সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছর এ সময়ে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, যেখানে এ বছর আলুর দাম প্রতি কেজি ৪৫-৫০ টাকা। গত বছরের তুলনায় আলুর দাম বেড়েছে ৮৮ শতাংশ।

চলতি বছর অক্টোবর মাসের শুরুতে সরকার এবার তিন পর্যায়ে আলুর দাম বেঁধে দেয়। তখন প্রতি কেজি খুচরা পর্যায়ে ৩০, পাইকারিতে ২৫ ও হিমাগারে ২৩ টাকা দাম বেঁধে দেয়। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর আরও পাঁচ টাকা বাড়িয়ে হিমাগারে আলুর কেজি ২৭, পাইকারিতে ৩০ এবং খুচরায় ৩৫ টাকা বেঁধে দেয়। যদিও বাজার পর্যায়ে সে দাম মানানোর বিষয়ে কোনো কড়াকড়ি লক্ষ করা যায়নি।

আলুর দাম কেন এত বেশি, সে বিষয়ে কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা বলছেন, পুরোনো আলুর মজুত কমে আসায় এর দাম বেশি। আর নতুন আলুর মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে তাঁরা বলেন, এখনো নতুন আলুর জোগান পর্যাপ্ত হয়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ১ কোটি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে ৪ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আলু উৎপাদনে কোনো বিপর্যয়ের কথা শোনা যায়নি। তারপরও আলুর এই উচ্চ মূল্যে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা।