পতন ঠেকাতে আবারও কমানো হলো মূল্যসীমা

শেয়ারবাজার
গ্রাফিকস: প্রথম আলো

সূচকের পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের দরপতনের সীমা (সার্কিট ব্রেকার) কমিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম একদিনে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দরপতনের সর্বোচ্চ এ সীমা ছিল ৫ শতাংশ।আর

বিএসইসির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম এখন থেকে এক দিনে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।

শেয়ারবাজারে এখন টানা দরপতন চলছে। গতকালও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে। গত ১১ কার্যদিবসে এ সূচকটি ৫১০ পয়েন্ট বা ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ কমেছে। সূচকের এ পতন ঠেকাতে ২২ মে প্রথমে শেয়ারের বিপরীতে ঋণসীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে এখন বিনিয়োগকারীরা নিজে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে তার বিপরীতে ১০০ টাকা ঋণসুবিধা পাচ্ছেন। আগে ১০০ টাকার নিজের বিনিয়োগের বিপরীতে একজন বিনিয়োগকারী সর্বোচ্চ ৮০ টাকা ঋণ নিতে পারতেন।

এ ছাড়া ২৩ মে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে নতুন এক সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারে বিনিয়োগের আগে সেকেন্ডারি বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। বিএসইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো আইপিওর শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক কোটা সুবিধা পেতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম তিন কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। এ ছাড়া গত সপ্তাহের শুরুতে প্রাক্-লেনদেন সুবিধাও তুলে নেওয়া হয় পতন থামাতে। এসব সিদ্ধান্তের পরও বাজারে দরপতন চলছে। এ অবস্থায় এসে গতকাল নতুন করে আবারও শেয়ারের দরপতনের সীমা কমানো হয়েছে।

বিএসইসির তথ্য অনুযায়ী, এর আগে গত ৮ মার্চ বাজারের পতন ঠেকাতে শেয়ারের দরপতনের ওপর ২ শতাংশ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। তার আগে শেয়ারের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমতে পারত। সেই সীমা কমিয়ে ৮ মার্চ ২ শতাংশ করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিল এ সীমা বাড়িয়ে ৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। গতকাল তা আবার কমিয়ে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। শেয়ারের দামের পতনের সীমা কমানো হলেও মূল্যবৃদ্ধির সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দাম এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে।

এদিকে সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারে লেনদেনেও খরা চলছে। ডিএসইতে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫১৩ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১৪৮ কোটি টাকা কম।