পেঁয়াজ ও আলুর দামে কুয়াশার অজুহাত

এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক দিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাক দেশের বিভিন্ন ঘাটে আটকা পড়ছে। উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকেও ট্রাক রাজধানীতে ঢুকতে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ঘণ্টা বেশি সময় লাগছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামে প্রভাব পড়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকার বাজারে নতুন আলুর প্রতি কেজির দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। পুরোনো আলু বিক্রি হতো ৩২-৩৫ টাকা কেজিতে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার শান্তিনগর, নিউমার্কেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। এই আলুর দাম পাইকারি বাজারে ৪৭-৫০ টাকা। আর পুরোনো আলু পাইকারিতে ৪০-৪২ টাকা কেজি, খুচরায় তা ৪৫-৪৭ টাকা।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আব্বাস আলী বলেন, বাজারে দু-তিন ধরে আলুর জোগান কম। পাইকারিতেও আগের চেয়ে দাম বেড়েছে। ফলে তাঁদেরও বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজারে আলুর সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়াতেই দাম বেড়েছে বলে মনে করেন কারওয়ান বাজারে পাইকারি দোকানদার আবু সিদ্দিক।

আলুর মতো পেঁয়াজের দাম বাড়ার ক্ষেত্রেও কুয়াশাকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের আড়তদার শঙ্করলাল প্রথম আলোকে বলেন, পুরোনো পেঁয়াজের মজুত একদমই শেষ, নতুন ফসল মাত্রই উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যে কুয়াশার দাপটের কারণে ঢাকার বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসছে কম। ফলে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৬৫-৭০ টাকা, পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা কেজি।

এই আড়তদার বলেন, মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছিল। যে কারণে অনেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গেছে।

আলু ও পেঁয়াজের মতোই সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের মধ্যে বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। গুটি স্বর্ণা চালের দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকা। কারওয়ান বাজারের চালের আড়তদার মো. জসীমউদ্দিন বলেন, আমন ফসল বাজারে এলে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দাম কমতে পারে।

সয়াবিন তেলের দাম গত এক সপ্তাহে নতুন করে বাড়েনি। খোলা সয়াবিন তেলের লিটার ১০৩ টাকা।