ভোজ্য তেলের দাম কমানোর ঘোষণা, কেজি-লিটার নিয়ে বিভ্রান্তি

মিলগেটে খোলা ভোজ্যতেলের দাম ২ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা।

মিলগেটে খোলা ভোজ্যতেলের দাম ২ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিলমালিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

তরল পদার্থের মাপের একক লিটার হলেও দেশের খোলা বাজারে অনেক ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল কেজি দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কেজি ও লিটারের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ টাকার একটি পার্থক্য রয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, এখন থেকে মিলগেটে খোলা সয়াবিন তেল ৯০ ও পাম তেল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। তবে এ দরটি কেজি না লিটারের, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বলছে, দরটি হবে কেজিতে। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা লিটারের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।

তরল পদার্থের মাপের একক লিটার হলেও দেশের খোলা বাজারে অনেক ক্ষেত্রে ভোজ্যতেল কেজি দরে কেনাবেচা হয়। বর্তমান দাম অনুযায়ী কেজি ও লিটারের ক্ষেত্রে প্রায় ৮ টাকার একটি পার্থক্য রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে তিনটি কোম্পানির প্রতিনিধি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা লিটারে ৯০ টাকার বিষয়ে আলোচনা করে এসেছেন। ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুণী প্রথম আলোকে বলেন, দাম হবে কেজিতে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ঢাকার খুচরা বাজারে এখন খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯২ থেকে ৯৭ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা এক বছর আগের তুলনায় লিটারপ্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি।

কয়েক দফার ফোনালাপের পর সর্বশেষ দফায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা লতিফ বকশী প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীরা বিদ্যমান দরটি ২ টাকা কমানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন। সেটা লিটারে হতে পারে, কেজিতেও হতে পারে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে জানান, আজ সেখানে খোলা সয়াবিন তেলের সরবরাহ আদেশ (এসও) লেনদেন হচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৪ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে।

সাধারণ মানুষ বেশি কেনে বোতলের তেল। সেখানে কোনো প্রভাব পড়বে না।
ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা

দেশে গত কয়েক মাসে ভোজ্যতেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করছিলেন। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ঢাকার খুচরা বাজারে এখন খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ৯২ থেকে ৯৭ টাকা দরে বিক্রি হয়, যা এক বছর আগের তুলনায় লিটারপ্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি।

টিসিবির হিসাবে, বাজারে এখন পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮২ থেকে ৮৪ টাকা। এক বছর আগে যা ৫৮ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে ছিল।

ব্যবসায়ী গোলাম মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ মানুষ বেশি কেনে বোতলের তেল। সেখানে কোনো প্রভাব পড়বে না।