মূল্যস্তর তোলার সিদ্ধান্তে দুদিনে সূচক কমল ৩.২৫%

শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক সিদ্ধান্তে গত দুই দিনে শেয়ারবাজারে সূচকের বড় পতন ঘটেছে। তাতে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৭২ পয়েন্ট বা প্রায় সোয়া ৩ শতাংশ। একইভাবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি কমেছে ৪৫১ পয়েন্ট বা প্রায় ৩ শতাংশ।

তালিকাভুক্ত ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর গত দুই কার্যদিবসে এ দরপতন ঘটে শেয়ারবাজারে। গত বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রভাবে বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচকটি কমেছিল ৮৩ পয়েন্ট। আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার সূচকটি কমেছে ৯০ পয়েন্ট বা পৌনে ২ শতাংশ। যদিও পতন ঠেকাতে গত শনিবার ছুটির দিনে ৬৬ কোম্পানির এক দিনে দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করে বিএসইসি। তাতেও দরপতন থামেনি গতকাল। দিনের লেনদেন শুরু হয় সূচকের বড় পতন দিয়ে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমনিতেই কিছুদিন ধরে বাজার নেতিবাচক ধারায় ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ ৬৬ কোম্পানির শেয়ারের ওপর থেকে মূল্যস্তর তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার প্রভাব পুরো বাজারের ওপর পড়েছে।

বাজারের খারাপ অবস্থার মধ্যেও বিমা খাতের কিছু শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। এ খাতের কোনো কোনো শেয়ারের দাম মাত্র ৫ কার্যদিবসে ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা খাতের শেয়ার নিয়ে আবারও কারসাজিকারকেরা সক্রিয়। দাম বাড়তে থাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনেকে তাঁদের হাতে থাকা ভালো শেয়ার বিক্রি করে বিমা খাতের শেয়ারে ঝুঁকছেন। তাতে ভালো শেয়ারের দাম কমে তা সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে বিমা খাতের কিছু কোম্পানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তা।