রবির শেয়ার পাবেন তিনজনে একজন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঠোফোন অপারেটর রবি আজিয়াটার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারের জন্য পৌনে ছয় গুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য প্রায় ৩৮৮ কোটি টাকার শেয়ারের বিপরীতে জমা পড়েছে ২ হাজার ২২৬ কোটি টাকার আবেদন। কোম্পানি ও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

১৭ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত রবির আইপিও শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যক্তিশ্রেণিতে রবির আইপিওর জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় প্রতি তিনজনে একজন একগুচ্ছ বা এক লট করে শেয়ার পাবেন। রবির আইপিওতে দেশ–বিদেশে অবস্থানকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৯১ লট শেয়ার বরাদ্দ ছিল। তার বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৭ লটের জন্য। নিয়ম অনুযায়ী, একজন বিনিয়োগকারী একক নামে সর্বোচ্চ এক লট শেয়ার পাবেন। কোম্পানিটির প্রতি লটে রয়েছে ৫০০ শেয়ার। আইপিওতে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে বিক্রি করা হয়।

১৭ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত রবির আইপিও শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে প্রায় ৫২৪ কোটি টাকা পুঁজি সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে রবির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করে সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। বাকি ৩৮৮ কোটি টাকা প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য রবির আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫৫ কোটি টাকার শেয়ার। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার শেয়ারের আবেদন জমা পড়েছে। অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১০ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে বরাদ্দ ছিল ২৩৩ কোটি টাকার শেয়ার। জমা পড়েছে ৬৪১ কোটি টাকার আবেদন। অর্থাৎ ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পৌনে তিন গুণের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে দেশে বসবাসকারী সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।