রিজার্ভ বেড়ে ৪২০০ কোটি ডলার

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় ও আমদানি কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার মজুত নতুন নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে যাচ্ছে। আজ দিনে প্রথমবারের মতো মজুত ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রিজার্ভ দিয়ে কমপক্ষে ১০ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব।

বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের এ নতুন রেকর্ড সম্ভব হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে। কারণ, করোনার মধ্যে প্রবাসীরা আগের চেয়ে বৈধপথে বেশি আয় পাঠাচ্ছেন। আবার সব ধরনের আমদানি কমে গেছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে করোনাভাইরাস অর্থনীতির এই সূচকের জন্য আশীর্বাদ হয়েই এসেছে।

আরও পড়ুন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, প্রবাসী আয়ের কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। করোনার মধ্যে রিজার্ভ বাড়ার খবর অর্থনীতির জন্য স্বস্তির। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারও স্থিতিশীল আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎসের মধ্যে আছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান ইত্যাদি। আর ব্যয়ের বড় জায়গা হচ্ছে আমদানি ব্যয়, নানা ধরনের ঋণ ও দায় পরিশোধ। এর বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে চাঁদা দেয় বাংলাদেশ।

করোনার মধ্যে রিজার্ভ ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছাল। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, আমদানি দায় মেটানোর চাপ এলে এই রিজার্ভ নিয়ে স্বস্তিতে থাকবে বাংলাদেশ।

প্রবাসী আয়ের কারণে রিজার্ভ বাড়ছে। করোনার মধ্যে রিজার্ভ বাড়ার খবর অর্থনীতির জন্য স্বস্তির। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারও স্থিতিশীল আছে।
সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র

সাধারণত, একটি দেশ তার ৩ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ রাখবে, এটাই রীতি হিসেবে মানা হয়। বাংলাদেশে এখন তা ১০ মাসের সমান। বেশি রিজার্ভ মূলত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য বাড়ায়। অর্থ প্রত্যাবাসন সহজ হবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে, এই আস্থা তৈরি হয়।

দেশের ঋণমান নির্ধারণে রিজার্ভের গুরুত্ব আছে। রিজার্ভ ভালো থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হারে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তবে অলস রিজার্ভও খানিকটা মাথাব্যথার কারণ, বিশেষ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভাবে রিজার্ভ বাড়তে থাকলে।