শেয়ারবাজারে সূচকের পতন চলছেই

শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

করোনার প্রভাবে দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত আছে। আজ সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস প্রথম আধা ঘণ্টায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে ১৯ পয়েন্ট। অবশ্য লেনদেনের শুরুতে সূচকটি কিছুটা বাড়তে দেখা গিয়েছিল। প্রথম ১৩ মিনিটে ডিএসইএক্স ৫৯ পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়েছিল। পরে আবার কমতে থাকে।

বেলা ১১টা নাগাদ অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে বেলা ১১টার নাগাদ লেনদেন হয়েছে মাত্র ৬৯ কোটি টাকার। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ১১৩টির। বেড়েছে মাত্র ১৪৩টির দর। অপরিবর্তিত ৬০টির দর।

গতকাল রোববার ডিএসইএক্স ১৬১ পয়েন্ট বা প্রায় ৪ শতাংশ কমে ৪ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে যায়। ২০১৫ সালের ৪ মে বা পাঁচ বছর পর এ সূচকটি আবারও ৪ হাজারের নিচে নেমেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি কমে ৪৮৯ পয়েন্ট বা ৪ শতাংশ।

শেয়ারবাজারে করোনা-আতঙ্কে এতটাই দরপতন ঘটছে যে, কোনো ধরনের বাছবিচার ছাড়াই ভালো-মন্দনির্বিশেষে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর সিংহভাগেরই অবস্থা খারাপ। ঢাকার বাজারে গতকাল লেনদেন হওয়া ৩৫৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩৮টি বা ৯৫ শতাংশেরই দাম কমেছে। দাম বেড়েছে মাত্র ১০টির বা ৩ শতাংশের। অপরিবর্তিত ছিল ৭টির বা ২ শতাংশের। চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৩৪টি বা ৯৪ শতাংশেরই দরপতন ঘটেছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনার আতঙ্ক জেঁকে বসেছে শেয়ারবাজারে। এ আতঙ্কে ব্যক্তিশ্রেণি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছে। এতে বাজারে চরম ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীদের অনেকে লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে সরে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগও কাজে আসছে না। বাজারের পতন রোধে ব্যাংকগুলো যাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসে, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতারা। গতকাল বিকেলে গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অনুরোধ জানান বিএমবিএর নেতারা।