সিএসইর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি

শেয়ারবাজারের কোম্পানির শেয়ারের বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তরকে প্রতিদিনের সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বা সার্কিট ব্রেকার হিসেবে দেখাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এতে সেখানকার বাজারে যেকোনো দিন বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফ্লোর প্রাইসকে কেন প্রতিদিনের শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন সার্কিট ব্রেকার হিসেবে দেখানো হচ্ছে, এ বিষয়ে সিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল প্রথম আলোর বাণিজ্য পাতায় ‘বড় ঝুঁকিতে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে সার্কিট ব্রেকারের হিসাবের গন্ডগোলের কারণে বাজারটিতে বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই মূলত গতকাল বিএসইসির পক্ষ থেকে সিএসইর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ ছাড়া প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল সকালে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীমসহ কয়েকজন পরিচালক বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।

এদিকে গতকাল প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সিএসইর পক্ষ থেকে সার্কিট ব্রেকার–সংক্রান্ত তালিকায় সংশোধনী আনা হয়। ফ্লোর প্রাইসের বাইরে আলাদাভাবে দিনের ন্যূনতম বা সর্বনিম্ন মূল্যসীমা আরোপ করা হয়। এতে নির্দিষ্ট একটি দিনে কোনো শেয়ারের দাম ওই সীমার নিচে নামতে পারবে না। ফলে বড় ধরনের দরপতনের শঙ্কা থেকে রেহাই পেল চট্টগ্রামের শেয়ারবাজার।