হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারী, ভার নিতে পারছে না ডিএসই

হাজার হাজার বিনিয়োগকারী হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে। বিনিয়োগকারীদের সেই ভার নিতে পারছে না সংস্থাটির আইটি ব্যবস্থা। ফলে লেনদেন করতে গিয়ে নানাভাবে সমস্যার মুখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

আজ মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের ভার নিতে না পেরে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের স্বাভাবিক কার্যক্রম লেনদেন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ ব্যাহত হয়। তাতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর ওয়েবসাইটের যে সক্ষমতা, তাতে প্রতি সেকেন্ডে একসঙ্গে ৪ হাজার ৮০০ হিট নিতে পারে। কিন্তু গতকাল লেনদেন শুরুর পরপর প্রতি সেকেন্ডে ওয়েবসাইটটিতে হিট হয় ৫ হাজারের বেশি। এতে ওয়েবসাইটটির গতি কমে যায়। তাতে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য-উপাত্ত (রিয়েল টাইম ডেটা) পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী বা বিনিয়োগকারীরা। পরে হিট কমিয়ে দিয়ে ওয়েবসাইটের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখা হয়। একই অবস্থা ছিল ডিএসইর মোবাইল অ্যাপেও।

ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও জানায়, ডিএসইর মোবাইল অ্যাপের যে সক্ষমতা, তাতে প্রতি সেকেন্ডে একসঙ্গে ৩০০ জন ব্যবহারকারী বা বিনিয়োগকারীর হিট নিতে পারে অ্যাপটি।

কিন্তু গতকাল লেনদেন শুরুর বিভিন্ন পর্যায়ে গিয়ে এ অ্যাপে বিনিয়োগকারীর হিট প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। যখনই হিট ৫০০ ছাড়িয়েছে, তখনই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কোনো লেনদেন করতে পারেননি। পরে হিট কমে গেলে লেনদেনও স্বাভাবিক হয়। এভাবে দিনভর বিভিন্ন সময়ে হিট বেড়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল অ্যাপের লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

জানতে চাইলে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, আজ লেনদেনের শুরুতে ও শেষে কিছুটা প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছিল। দ্রুততার সঙ্গেই তা সমাধান করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের ভার নিতে না পেরে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের স্বাভাবিক কার্যক্রম লেনদেন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ ব্যাহত হয়। তাতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল থেকে ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপসহ লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এদিকে, আজ শুরু থেকে ঢাকার বাজারে লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যায়। তাতে অনেকে ধারণা করেছিলেন আজ দিন শেষে লেনদেনে রেকর্ড হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। বিনিয়োগকারীদের অনেকে বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণেই লেনদেন বিঘ্নিত হয়েছে।