১২ টাকার শেয়ারে সাড়ে ১২% লভ্যাংশ দেবে এনআরবিসি ব্যাংক

এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা আজ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়।
এনআরবিসি ব্যাংকের সৌজন্যে

শেয়ারবাজারে ১২ টাকার কম দামের শেয়ারের বিপরীতে সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল বা এনআরবিসি ব্যাংক। এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় লভ্যাংশের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভা শেষে এনআরবিসি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২২ মার্চ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার রেকর্ড তারিখ পর্যন্ত যাদের হাতে থাকবে, তারা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৭৫ পয়সা করে নগদ টাকা ও প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ৫টি বোনাস শেয়ার পাবেন। এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ মে। এদিন যেসব বিনিয়োগকারীর হাতে কোম্পানিটির শেয়ার থাকবে, তারাই কেবল এ লভ্যাংশ পাবেন।

ধরা যাক, আপনার হাতে রেকর্ড তারিখে কোম্পানিটির ১ হাজার শেয়ার রয়েছে। তাহলে আপনি লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন ৭৫ টাকা নগদ ও ৫০টি বোনাস শেয়ার।

এবার আসা যাক হিসাব–নিকাশে। ধরা যাক, আপনার হাতে কোম্পানিটির ১ হাজার শেয়ার রয়েছে। গতকালের ১১ টাকা ৯০ পয়সা বাজারমূল্যেই আপনি এ শেয়ার কিনেছেন। রেকর্ড তারিখ পর্যন্ত যদি সেই শেয়ার আপনি ধরে রাখেন, তাহলে আপনি লভ্যাংশ হিসেবে পাবেন ৭৫ টাকা নগদ ও ৫০টি বোনাস শেয়ার। রেকর্ড তারিখের দিনে এটির দাম একই জায়গায় রয়ে গেল। তাহলে নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ পাওয়ার পর আপনার ওই শেয়ারের ক্রয়মূল্য কমে হবে ১০ টাকা ৬২ পয়সা।

আইপিওতে ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে বিক্রি করা হয়। তালিকাভুক্তির প্রথম দিনে এটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ওঠে ১৩ টাকা ২০ পয়সায়।

চতুর্থ প্রজন্মের এ ব্যাংক প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে গত মার্চে। আইপিওতে ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালুতে বিক্রি করা হয়। তালিকাভুক্তির প্রথম দিনে এটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ওঠে ১৩ টাকা ২০ পয়সায়।
এদিকে, গতকাল অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল। সভায় গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের আয়–ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৬ জুন ব্যাংকের নির্ধারিত তারিখে বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে অনুমোদনের পর এ লভ্যাংশ শেয়ারধারীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।