১৯ টাকার শেয়ার ১০ মাসে ১৪০ টাকায়, তবুও নিশ্চুপ নিয়ন্ত্রক সংস্থা

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে শেয়ারবাজারের বিমা খাতের কোম্পানি প্রভাতী ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম। আর মাত্র সাড়ে নয় মাসের ব্যবধানে এই ১৯ টাকার শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬১৮ শতাংশ বা সাত গুণের বেশি।

কোম্পানিটির শেয়ারের দামের এ অস্বাভাবিক উত্থান হয়েছে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। শেয়ারের দামের অস্বাভাবিক এ উত্থান হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো তদন্তেরই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

কোম্পানিটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর কারা এ লভ্যাংশের দাবিদার হবেন সেটি নির্ধারণের জন্য আজ সোমবার কোম্পানিটির রেকর্ড তারিখ। আজকের দিনে যেসব বিনিয়োগকারীর হাতে এ কোম্পানির শেয়ার থাকবে, তাঁরাই এ বোনাস লভ্যাংশ পাবেন। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৩০ মে বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদনের পর এ লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে।

কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২১ মার্চ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৭১ টাকা ৪০ পয়সা। গতকাল রোববার দিন শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯ টাকা ৩০ পয়সায়। তাতে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে এই শেয়ারের দাম প্রায় ৬৮ টাকা বা ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। বলতে গেলে এক মাসে দ্বিগুণ হয়ে গেছে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম।

গত জুলাইয়েও ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। সেই হিসাবে মাত্র সাড়ে ৯ মাসের ব্যবধানে এই শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১২০ টাকা বা ৬১৮ শতাংশ বা সাত গুণের বেশি। এত কম সময়ে কারসাজি ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারের এমন মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার আর কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

অথচ গত জুলাইয়েও ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ছিল ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। সেই হিসাবে মাত্র সাড়ে ৯ মাসের ব্যবধানে এই শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১২০ টাকা বা ৬১৮ শতাংশ বা সাত গুণের বেশি। এত কম সময়ে কারসাজি ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারের এমন মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ার আর কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। তাই তাঁরা এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির কারণ তদন্ত খুব জরুরি বলে মনে করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ স্থানীয় এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী প্রথম আলোকে বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বিমা খাতের কিছু শেয়ারের দাম কারসাজির মাধ্যমে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। বাজারে বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে সেই কারসাজির ঘটনার কথা রটেছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা–ও বিনিয়োগকারীদের মুখে মুখে ছিল।

কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে কারসাজিকারকেরা উৎসাহিত হচ্ছেন।