২৬ বিমা কোম্পানির জন্য আইন শিথিল

  • বিমা খাতের ২৬টি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে আইনি ছাড় দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

  • সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে শেয়ার ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকার পুঁজি উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

  • বিমা কোম্পানিগুলোর মূলধনের একটি অংশ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের শর্তে আইনি বিধানটি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।

বিমা খাতের ২৬টি কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে আনতে আইনি ছাড় দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বুধবার বিএসইসির কমিশন সভায় এ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিএসইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী, স্থিরমূল্য (ফিক্সড প্রাইস) পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে শেয়ার ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকার পুঁজি উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইনি এ বাধ্যবাধকতার কারণে ২৬টি বিমা কোম্পানি শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহের জন্য শেয়ারবাজারে আসতে পারছিল না।

এ অবস্থায় ২৬ বিমা কোম্পানির জন্য এ বিধান শিথিল করতে বিএসইসিতে আবেদন করে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা আইডিআরএ। আইডিআরএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি শর্তসাপেক্ষে ৩০ কোটি টাকার পুঁজি সংগ্রহের আইনি বাধ্যবাধকতা শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়। শিগগিরই এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বিমা কোম্পানিগুলোর মূলধনের একটি অংশ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের শর্তে আইনি বিধানটি শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বর্তমানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বাধিক ৫৬টি কোম্পানি রয়েছে বস্ত্র খাতের। এরপরেই তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিমা খাতের কোম্পানি, ৪৮টি।

আইডিআরএর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সনদপ্রাপ্ত জীবন বিমা কোম্পানি রয়েছে ৩৩টি আর সাধারণ বিমা কোম্পানির সংখ্যা ৪৬টি।