৯ কার্যদিবসেই দাম বেড়ে হয়েছে ৫ গুণ

মাত্র ৯ কার্যদিবসে ৫ গুণ হয়ে গেছে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের শেয়ারের দাম। ১০ টাকার প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির শেয়ারের দামের এ উত্থানকে অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁরা বলছেন, সত্যিই যদি এটি ৫০ টাকা দামের কোম্পানি হতো, তাহলে কোম্পানিটির উদ্যোক্তারা আইপিওতে ১০ টাকায় এটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হতেন না।

গত ২৫ অক্টোবর শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়। এরপর থেকে টানা বেড়েছে এটির শেয়ারের দাম। তাতে মাত্র ৯ কার্যদিবসে এটির শেয়ারের দাম ৪০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহ শেষে মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল এ কোম্পানি। গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে এটির দাম বেড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি।

অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের দাপুটে সপ্তাহে ঢাকার বাজারে লেনদেনের পরিমাণ কমে গেছে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৪৪ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪৭ কোটি টাকা বা প্রায় ১৫ শতাংশ কম। লেনদেন কমলেও সপ্তাহ শেষে সূচক বেড়েছে ঢাকার বাজারে। গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯৬ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ বেশি।

এদিকে গত সপ্তাহেই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, করোনার কারণে শেয়ারবাজারের কোনো কোম্পানির শ্রেণিমানের বা ক্যাটাগরির অবনতি হবে না। ১ সেপ্টেম্বরের পর যেসব কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তাদের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। তবে কোনো কোম্পানি আগের বছরের চেয়ে বেশি লভ্যাংশ দিলে সে ক্ষেত্রে শ্রেণিমানের উন্নতি হবে। অর্থাৎ করোনার বছরে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ না দিলেও শ্রেণিমানের অবনতি হবে না, তবে উন্নতি হবে।