চাপ প্রয়োগ করে নয়, সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার ২৯টি পণ্যের নির্ধারিত দাম কার্যকর করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, উৎপাদক থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজটি করা হবে। এ জন্য নিয়মিত বাজার তদারক করা হবে বলে জানান তিনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ রোববার এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ সভায় তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সরকার নির্ধারিত ২৯ পণ্যের দাম একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।
দেশের প্রচলিত কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী গত শুক্রবার পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগি, গরুর মাংসসহ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক দাম প্রকাশ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। যদিও পরের দুই দিনে বাজারে সেই দামে পণ্য কিনতে পারেননি ভোক্তারা।
নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে সাড়ে পাঁচ বছর আগে তৈরি করা কৃষি বিপণন আইন বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেক দিন ধরে আইনটা ছিল, তবে প্রয়োগ করা হয়নি।’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এই অধিদপ্তরের নিজস্ব কমিটি আছে। আমরা যেহেতু বাজার মনিটরিং করি, সেহেতু সমন্বয় করে তদারকি শুরু করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেখানে যাচ্ছি, বাজার কমিটিকে নিয়ে বসছি, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসছি, তাঁদের উৎসাহিত করছি। তাঁদের সমস্যার সমাধান করছি। আমরা কোনো জায়গায় কোনো দোকান বন্ধ বা তালাবদ্ধ করে দিচ্ছি না।’
আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যাঁরা একেবারেই আইন মানছেন না, যেমন পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে যখন বিক্রি করতে হবে, তখন আপনাকে রসিদ রাখতে হবে। আপনি যখন পাইকারি চালান করবেন, তখন আপনাকে রসিদ দিতে হবে। এগুলো না করলে আমরা শাস্তির আওতায় আনছি।’
আলোচনা সভায় বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।