জাপানের সাইসন ইনভেস্টমেন্ট থেকে ৬৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেল শপআপ
দেশের অন্যতম বিজনেস টু বিজনেস ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম শপআপ প্রায় ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের নতুন বিনিয়োগ পেয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৭৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ধরে)।
জাপানের বৃহৎ আর্থিক সেবাদাতা কোম্পানি ক্রেডিট সাইসনের ভেঞ্চার প্রতিষ্ঠান সাইসন ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এ বিনিয়োগ পেয়েছে শপআপ। মূলত ঋণ তহবিল (ঋণের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানো) আকারে এ বিনিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে শপআপ। এতে জানানো হয়, বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো কৌশলগত বিনিয়োগ করেছে সাইসন ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এর মাধ্যমে শপআপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সক্ষমতার প্রতি জাপানের প্রতিষ্ঠানটির আস্থা প্রকাশ পেয়েছে।
জাপানের তৃতীয় বৃহৎ ক্রেডিট কার্ড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ক্রেডিট সাইসন, যাদের ২ কোটির বেশি কার্ডধারী রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটি ভোক্তা ও করপোরেট পর্যায়ের পাশাপাশি এমএসএমই খাতে সহজে ঋণ প্রদানের জন্য পরিচিত।
বর্তমানে জাপান ছাড়াও ব্রাজিল, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মতো উদীয়মান বাজারে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে ক্রেডিট সাইসন। এ জন্য দেশগুলোর স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো ও বিভিন্ন ঋণ প্রদান মাধ্যমকে কাজে লাগিয়েছে তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, বিভিন্ন কারখানা ও বাজারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং দেশের সরবরাহকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য সমন্বিত বিতরণব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে নিজেদের পরিসর বাড়াচ্ছে শপআপ। এ কাজের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ব্যবসায়ের সনাতনী অর্থায়ন পদ্ধতির জটিলতা কাটাতে সহজ লেনদেনের নানা ধরনের আর্থিক সমাধান দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে বলা হয়, নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে শপআপের সঙ্গে যুক্ত খুচরা বিক্রেতারা তাঁদের অফারগুলোকে আরও প্রসারিত করা এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাড়ানোর সুযোগ পাবেন। এর ফলে সার্বিকভাবে তাঁদের ব্যবসা বাড়বে।
এ বিষয়ে শপআপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী (সিইও) আফিফ জামান বলেন, ‘দেশের আট কোটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর বিষয়ে আমাদের যে ভিশন রয়েছে, তা নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
আফিফ জামান বলেন, ‘দেশের জনগণের বড় অংশ তাঁদের আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি ব্যয় করেন খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের পেছনে। আমরা এই খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের ভ্যালুচেইনে স্বচ্ছতা আনতে দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাব। এর মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করা সম্ভব হবে।’