সোনায় মোড়ানো ২০ হাজার টাকা কেজির জিলাপির অর্ডার নেওয়া বন্ধ

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সোনায় মোড়ানো জিলাপি বিক্রি হয়ে গেছে। তাই নতুন করে বিক্রির আদেশ তারা আর নিচ্ছে না।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ফেসবুক থেকে নেওয়া।

গত সপ্তাহে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সোনায় মোড়ানো জিলাপি বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা। গত মঙ্গলবার দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়েছিল, বিশেষ জিলাপির প্রতি কেজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এর মাত্র সাত দিনের মাথায় আরেকটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হোটেলটির কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, তারা আর জিলাপির অর্ডার নিচ্ছে না।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ‘গোল্ড জিলাপি সোল্ড আউট’। অর্থাৎ, সোনার আবরণে ঢাকা জিলাপি বিক্রি শেষ হয়েছে।

আরও পড়ুন

যোগাযোগ করা হলে হোটেলটির এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জিলাপি বানানোর জন্য যে পরিমাণ উপকরণ (খাওয়ারযোগ্য সোনা) তাঁরা এনেছিলেন, তা শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য নতুন করে আর কোনো অর্ডার বা ক্রয়াদেশ নিচ্ছেন না তাঁরা। তবে এই ছয় দিনে কী পরিমাণ জিলাপি বিক্রি হয়েছে, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে চাননি তিনি।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে গ্রাহকদের বিশেষ খাবার উপহার দিতে সোনার পাতলা আবরণ দিয়ে মোড়ানো জিলাপি বিক্রির উদ্যোগ নেয় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কর্তৃপক্ষ। প্রতি কেজি জিলাপিতে ২৪ ক্যারেটের খাওয়ার উপযোগী সোনার ২০ থেকে ২২টি লিফ বা অংশ থাকবে, এমন কথা জানিয়েছিলেন হোটেলের কর্মকর্তারা। একজন গ্রাহকের জন্য ন্যূনতম ২৫০ গ্রাম জিলাপি কেনার সুযোগ ছিল।

অলংকার তৈরিতে সোনার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হলেও খাওয়ারযোগ্য সোনাও রয়েছে। সেই বিশেষ ধরনের সোনাই ব্যবহার করা হয়েছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের এ জিলাপির রেসিপিতে।

আরও পড়ুন

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার মহাব্যবস্থাপক অশ্বিনী নায়ার সে সময় প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ পণ্য এখন আর শুধু খাওয়ার বিষয়ই নয়। লোকেরা এখন আর শুধু নামেই বিলাসিতা পেতে চায় না। তারা বিলাসী পণ্যের অনন্য স্বাদ ও অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল এ ধরনের একটি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বাংলাদেশি গ্রাহকদের সেই বিলাসিতা উপভোগের সুযোগ দিতে চায়। এ জন্যই বিশেষ এ জিলাপি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন

গোল্ড জিলাপি বা সোনার জিলাপি বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর বেশ সাড়া মিলছে বলে গত সপ্তাহে প্রথম আলোকে জানিয়েছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা এখন বলছেন, ভালো গ্রাহকসাড়া পাওয়ায় দ্রুততম সময়ে তাঁদের সব উপকরণ শেষ হয়ে গেছে। এ জন্য আর কোনো অর্ডার নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকার একটি হোটেলে সোনায় মোড়ানো জিলাপি বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন, কেউ কেউ সমালোচনাও করেছেন।