প্রথম আলো: বাংলাদেশে এ ব্যবসার কেমন সম্ভাবনা দেখেন?

লরেন্ট ওলমেটা: এ দেশে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা বেশ ভালো হওয়ার কারণে আমরা নতুন নতুন সেবা যোগ করছি। সম্ভাবনা দেখেই সেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির যে গতি এখানে আছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে আরও ভালো ব্যবসা হবে। নতুন নতুন বিনিয়োগ আসবে। বিশেষ করে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। এটি চালু হলে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আলাদা গতি পাবে। এসব ভেবে আমরাও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী মাসে বাংলাদেশ-ভারত উপসাগরীয় সার্ভিসের (বিআইজিইএক্স) মাধ্যমে বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে নতুন একটি শিপিং (জাহাজে পণ্য পরিবহন) পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছি।

প্রথম আলো: এ পথে কেন সেবা চালু করলেন?

লরেন্ট ওলমেটা: চট্টগ্রাম বন্দরকে উপসাগরীয় অঞ্চলের জেবেল আলী এবং খলিফা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করতে আমাদের এই প্রয়াস। এ পথে জাহাজ চলাচল করলে ভারতের নাভা শিভা ও মুন্দ্রা বন্দরও সংযুক্ত হবে। তাতে এটি একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ সেবা হিসেবে পরিচিত পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশ ইউরোপ–আমেরিকার সঙ্গে হলেও নতুন এ পথও ভবিষ্যতে ভালো করবে। এ পথের আরও একটি বৈশিষ্ট্য, জাহাজে পণ্য দুবাই গিয়ে সেখান থেকে সরাসরি ইউরোপ ও আমেরিকায় কার্গো বিমানে দ্রুত পণ্য পরিবহনের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও তৈরি হবে।

প্রথম আলো: নতুন এ পথে পণ্য নিয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা কী সুবিধা পাবেন?

লরেন্ট ওলমেটা: নতুন এ সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত-শ্রীলঙ্কা উপসাগর একটি সমুদ্রপথ হিসেবে চিহ্নিত হলো। পাশাপাশি বাংলাদেশের সমুদ্রপথকে মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের পশ্চিম উপকূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করল। এ পরিষেবা দ্রুত ট্রানজিট সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে উপসাগরীয় জেবেল আলী বন্দর হয়ে আবুধাবিতে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ থেকে ৮ দিনে ভারতের নাভা শিভা বন্দরে ও ১০ দিনের মধ্যে মুন্দ্রা বন্দরে পৌঁছাবে।

প্রথম আলো: লজিস্টিক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?

লরেন্ট ওলমেটা: দেখেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই নিয়মনীতি মেনে করা উচিত। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা সেটাই করে থাকি। আমরা যে শুধু সমুদ্রপথে সেবা পরিচালনা করছি, তা–ই নয়, আমাদের সড়ক ও বিমানপথেও সেবা রয়েছে। আমাদের কোম্পানি ৪২০টির মতো বন্দরে কাজ করে থাকে। আমাদের কোম্পানির অধীন জাহাজ আছে ৫৮৩টি। আমরা স্থানীয় সব নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকি।