প্রথম দিন যা বললেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মন্ত্রী বললেন ‘ধরুন তাদের’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীঅর্থ মন্ত্রণালয়

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সাশ্রয়ী হওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত হওয়ার কথা বলছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আজই প্রথম অর্থ মন্ত্রণালয়ে আসেন ওয়াসিকা আয়শা খান এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সচিবালয়ে ওয়াসিকা আয়শা খানের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, কোন খাতে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জই-বা মোকাবিলা করবেন কীভাবে।

জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথম দিন অর্থমন্ত্রী (আবুল হাসান মাহমুদ আলী) তাঁকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আগে দেখবেন মন্ত্রণালয়ের অগ্রাধিকারগুলো কী। কিছু না জেনে তিনি অগ্রাধিকার বলতে পারবেন না। তবে অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল রেখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাওয়াই হবে তাঁর অগ্রাধিকার।

‘ব্যক্তিগত অগ্রাধিকার’ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমুন্নত রেখে এবং প্রধানমন্ত্রীর রূপান্তরকারী নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে দুর্নীতিমুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন বলেও মন্তব্য করেন ওয়াসিকা আয়শা খান।

অর্থনীতিতে কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর পর থেকেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় আছে। তার ওপর বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধবাজদের যে হুংকার, তা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। বিশ্বের যেসব বৃহৎ অর্থনীতির দেশ আগে খাদ্য সাহায্য দিত, এখন অস্ত্রের পেছনেই তাদের অর্থ ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের উদাহরণ টেনে ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বহু আগে থেকেই সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলে আসছেন। আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।’

সাশ্রয়ী হতে আপনারা কী করবেন—এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি অর্থ প্রতিমন্ত্রী। শুধু বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই এগোতে হবে।

দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থার কথা যে কয়েকবার উল্লেখ করলেন, সমাজে কি দুর্নীতির আধিক্য দেখতে পাচ্ছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ এলাম। দেখি, বুঝি। প্রশ্ন করার আরও সময় পাবেন।’

অর্থ প্রতিমন্ত্রীর আগে কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীও। দেশের মানুষ ভালো আছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষকে জিজ্ঞাসা করুন। আমি তো মনে করি তাঁরা ভালো আছেন।’

অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বাজার দর ইত্যাদি নিয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী অনেকটা কূটনীতির ভাষায় বলেন, ‘চেষ্টা তো করছি, দেখেন। ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এটাতেও যদি না কমে...,’ তবে বাক্য শেষ করেননি অর্থমন্ত্রী।

কিন্তু দ্রব্যমূল্য কমছে না—জানালে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ধরুন তাদের।’ সাংবাদিকেরা বলেন, ‘আমরা ধরলে তো হবে না। ধরতে হবে এবং নির্দেশনা দিতে হবে সরকারকে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার তো নির্দেশনা দিচ্ছেই। আচ্ছা, এখন চলি’—এভাবে কথা বলা শেষ করেন অর্থমন্ত্রী।