দুই দিনের মধ্যে অর্থনৈতিক শুমারির খুঁটিনাটি বরাদ্দ জানাতে নির্দেশ

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রধান ফটক
ছবি: সংগৃহীত

অর্থনৈতিক শুমারির টাকা বরাদ্দের খুঁটিনাটি সম্পর্কে দুই দিনের মধ্যে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ রোববার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুমারির টাকা বরাদ্দের বিষয়ে এক বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।

গত মঙ্গলবার ৫৭৯ কোটি টাকার এ সম্পর্কিত প্রকল্পটি পাস হয়েছে। এর আওতায় সারা দেশে অর্থনৈতিক শুমারি হবে। কিন্তু কিছু খাতে বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আজ মন্ত্রী এ নিয়ে বৈঠক করেন। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৩ সালে জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত। তাই প্রকল্পটি বাকি দুই বছরে শেষ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণমাধ্যমে এই প্রকল্পের খরচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আজকের বৈঠকে প্রকল্প প্রস্তাবের খুঁটিনাটি বরাদ্দ উপস্থাপন করেছি।’

যেসব বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার ও সফটওয়্যার কেনা, তথ্য–উপাত্ত সংরক্ষণ, মোবাইল ফোনে কথা বলা ও খুদে বার্তার খরচ, আপ্যায়ন, প্রচার-প্রচারণা ও সভা-সেমিনারের খরচসহ অন্যান্য মনিহারি জিনিসপত্র কেনাকাটা।

প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে, সফটওয়্যার কেনায় প্রায় ২২ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। তথ্য সংরক্ষণে খরচ দেখানো হয়েছে ৬ কোটি টাকা। আর দুই বছরের এই প্রকল্পে কম্পিউটার ও সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। এ ছাড়া মোবাইল রিচার্জ ও এসএমএস পাঠানোয় পৌনে চার কোটি টাকা খরচ হবে।

প্রকল্প দলিল ঘেঁটে দেখা গেছে, এই প্রকল্প চলার সময় ১ হাজার ৪৪১ জনের জন্য আপ্যায়ন খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ জনপ্রতি আপ্যায়ন খরচ হবে ৯৫০ টাকা। এ ছাড়া বই, সাময়িকী, প্রচারপত্র, অডিও-ভিডিও চিত্র, মুদ্রণ ও বাঁধাই, স্টেশনারি সামগ্রী—এসব কিনতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হলেও মনিহারিসামগ্রী কেনার নামে বিপুল অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সেখানে ৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে।

এই প্রকল্পে চারজন পরামর্শকের এক বছরের সম্মানী ধরা হয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি মাসে তাঁদের আড়াই লাখ টাকা সম্মানী দিতে হবে। এ ছাড়া ১০৭টি সভা-সেমিনার করে প্রকল্পের নানা দিক তুলে ধরা হবে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।