হীরা ক্রয়ে ক্রেতাদের সতর্ক হতে বলেছে জুয়েলার্স সমিতি

হীরাছবি: এএফপি

ডায়মন্ড তথা হীরার অলংকার ক্রয়ে প্রতারণা এড়াতে ক্রেতাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সংগঠনটি বলেছে, একটি প্রতারক চক্র ডায়মন্ড হাউস নামে বিভিন্ন স্থানে ভুঁইফোড় বিক্রয়কেন্দ্র খুলছে। এসব বিক্রয়কেন্দ্র থেকে হীরার অলংকার না কেনার পরামর্শ দিয়েছে বাজুস।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটি হীরা কেনাবেচার বিষয়ে আরও কিছু নির্দেশনার দিয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুয়েলার্স সমিতির সদস্য প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড হাউসের নাম ব্যবহার করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একটি অসাধু চক্র নিত্যনতুন বিক্রয়কেন্দ্র খুলছে, যা প্রকৃত অর্থে প্রতারণা। জুয়েলার্স সমিতির সদস্য প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড হাউসের বিক্রয়কেন্দ্র শুধু রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে রয়েছে।

তবে প্রতারক চক্র রাজধানীর পিংক সিটি, ধানমন্ডির মেট্রো শপিং মল, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার, ফরচুন শপিং মল, উত্তরার রাজলক্ষ্মী শপিং কমপ্লেক্স এবং চট্টগ্রামসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ডায়মন্ড হাউস নামে বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছে। এসব বিক্রয়কেন্দ্র থেকে ক্রেতারা হীরার অলংকার কিনে প্রতারিত হলে তার দায় জুয়েলার্স সমিতি নেবে না।

হীরার অলংকার কেনাবেচার বিষয়ে কিছু নির্দেশনার কথাও জানিয়েছে জুয়েলার্স সমিতি। সংগঠনটি বলেছে, ৫০ সেন্টের ওপর সব ধরনের হীরার গহনার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক সনদ প্রদান করতে হবে। হীরার গহনায় ১৮ ক্যারেটের কম মানের স্বর্ণ ব্যবহার করা যাবে না। বিক্রির সময় ক্যাশ মেমোতে গুণগত মান নির্দেশক উল্লেখ করতে হবে।

জুয়েলার্স সমিতি জানিয়েছে, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য হীরার অলংকার বিক্রির সময় কোনো ধরনের প্রলোভনমূলক উপহার বা একটা কিনলে একটা ফ্রি—এমন সুযোগ দেওয়া যাবে না। তবে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া যাবে। জুয়েলার্স সমিতির কোনো সদস্য প্রতিষ্ঠান এসব নিয়ম অমান্য করলে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ বিধি অনুসারে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোনো গ্রাহক মূল্যবান ধাতু ও পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি পরিমাণ নগদ টাকার লেনদেন করলে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বরাবর লেনদেন–সম্পর্কিত প্রতিবেদন দিতে হবে। এসব তথ্য কমপক্ষে পাঁচ বছর সংরক্ষণ করতে হবে।

এ ছাড়া কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে মিল রেখে সাদৃশ্যপূর্ণ নাম রাখা যাবে না। কিংবা নামের আগে বা পরে নিউ, দি বা অন্য কিছু বা বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নাম সংযুক্ত করে নতুন কোনো জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জুয়েলার্স সমিতি।