ই-টিআইএন কীভাবে নেবেন

এখন চলছে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার মৌসুম। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে রিটার্ন দেওয়ার জন্য করদাতাদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। প্রত্যেক করদাতার একটি ই-টিআইএন আছে। এটি হলো আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ। ই-টিআইএন কীভাবে করবেন? ই-টিআইএন নিতে আপনাকে কর অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসে অনলাইনেই ই-টিআইএন নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, ই-টিআইএন নিতে কোনো টাকা লাগে না। বিনা মূল্যে ই-টিআইএন ইস্যু করে এনবিআর।

এখন চলছে বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেওয়ার মৌসুম। অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই রিটার্ন দেওয়ার জন্য করদাতাদের মধ্যে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। নানা ধরনের কাগজপত্র জোগাড় করতে হয়। অনেকে কর আইনজীবীর কাছেও দৌড়ান। তবে নতুনরা কী করবেন? রিটার্ন দিতে হলে প্রথমেই আপনাকে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই-টিআইএন) নিতে হবে। এ জন্য আপনাকে কর অফিসে যেতে হবে না। এই ঝামেলা থেকে আপনি রেহাই পাবেন। ঘরে বসেই অনলাইনেই ই-টিআইএন নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, ই-টিআইএন নিতে কোনো টাকা লাগে না। কোনো ফি বা মাশুল দিতে হয় না, এটা সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে পাওয়া যায়।
কীভাবে টিআইএন নেবেন?

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ই-টিআইএন নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে www.nbr.gov.bd এই ঠিকানায় ই-টিআইএন অপশনে গিয়ে ক্লিক করলেই ই-টিআইএন নেওয়ার পেজ পাওয়া যাবে। অবশ্য সরাসরি incometax.gov.bd ঠিকানায় গিয়েও ই-টিআইএন নেওয়ার একই পেজ পাওয়া যাবে। সেখানে আপনাকে প্রথমেই নির্ধারিত স্থানগুলো পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ই-মেইল ও মুঠোফোন নম্বর জরুরি। তারপর রেজিস্ট্রার বাটনে ক্লিক করলেই ই-টিআইএনের ফরম পাওয়া যাবে।

ওই ফরমের শূন্যস্থান পূরণের জন্য আপনার কাছে কিছু মৌলিক তথ্য চাওয়া হবে। যেমন নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, বয়স ইত্যাদি। মনে রাখবেন, ঘরে বসে ই-টিআইএন পেতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবেই। কারণ, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাই-বাছাই করা হয়। অনলাইনে ই-টিআইএনের ওই ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করলে কয়েক মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ই-মেইলে ১৩ সংখ্যার ই-টিআইএন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এভাবে সহজে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন ই-টিআইএন।

এখন প্রশ্ন হলো, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই কিংবা বিদেশি নাগরিকেরা কীভাবে ই-টিআইএন নেবেন? তাঁরা নিজ নিজ পাসপোর্ট ও এর কপি নিয়ে নির্দিষ্ট কর কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। তারপর কর কর্মকর্তারা সনাতন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই করে ই-টিআইএন ইস্যু করে থাকেন। এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ই-টিআইএন নিতে অভিভাবকের টিআইএন, করদাতার ছবি ইত্যাদি লাগে।

এখন আর আগের মতো সনাতন পদ্ধতিতে টিআইএন দেওয়া হয় না। রিটার্ন দিতে হলে ১২ সংখ্যার ই-টিআইএন দিতে হয়। বর্তমানে প্রায় ৪২ লাখ ই-টিআইএনধারী আছেন। অবশ্য তাঁদের সবাই বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা দেন না।

ই-টিআইএন হলো আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ। একজন করদাতাকে আয়কর নিবন্ধন নম্বরের মাধ্যমে করদাতা হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নিবন্ধিত করদাতা বছর শেষে রিটার্ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে বার্ষিক আয়-ব্যয় ও সঞ্চয় বর্ণনা করেন।

প্রতিবছর ২২-২৩ লাখ টিআইএনধারী রিটার্ন জমা দেন। তবে এ বছর থেকে কিছু শর্তে ছাড় দিয়ে প্রায় সব টিআইএনধারীর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ই-টিআইএন হলো আয়কর নিবন্ধনের আধুনিক সংস্করণ। একজন করদাতাকে আয়কর নিবন্ধন নম্বরের মাধ্যমে করদাতা হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নিবন্ধিত করদাতা বছর শেষে রিটার্ন জমা দেওয়ার মাধ্যমে বার্ষিক আয়-ব্যয় ও সঞ্চয় বর্ণনা করেন।

এ ছাড়া কিছু কাজ করতে গেলে টিআইএন লাগে। যেমন জমি কিনতে গেলে টিআইএন লাগে। আবার বিদ্যুৎ-সংযোগ নিতেও টিআইএন লাগবে। কিংবা আপনি গাড়ি কিনেছেন, টিআইএন ছাড়া গাড়ির নিবন্ধন নিতে পারবেন না। এমনকি আপনি ব্যাংকে এফডিআর করেছেন, টিআইএনের কপি ওই ব্যাংকে জমা দিলে এফডিআরের সুদের ওপর ৫ শতাংশ কম আয়কর কাটবে। সুদের ওপর ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ উৎসে কর করা হবে।