ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে সুদ সবচেয়ে বেশি, কিনবেন কীভাবে

ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিদেশে কাজ করা বাংলাদেশিদের জন্য দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সীমিত। প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত বিনিয়োগের মাধ্যম হলো প্রবাসী কল্যাণ বন্ড। প্রবাসীদের জন্য মোট তিনটি বন্ড আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুদ ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে।

এই বন্ড অনেকটা ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিটের মতো, এই বন্ডে প্রবাসীরা সরকারের কাছে এককালীন টাকা বিনিয়োগ করেন আর নির্দিষ্ট সময় পর মুনাফাসহ সেই অর্থ ফেরত পান। কিন্তু পার্থক্য হলো, এখানে মুনাফার হার তুলনামূলক বেশি, আয় সম্পূর্ণ করমুক্ত, সেই সঙ্গে আছে মৃত্যুঝুঁকির বিমা।

মেয়াদান্তে ১২ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায় ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে। এটি পাঁচ বছর মেয়াদি। তবে ছয় মাস অন্তর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে। ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড তিন বছর মেয়াদি, মেয়াদান্তে যার মুনাফার হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড তিন বছর মেয়াদি। মেয়াদান্তে এটির মুনাফার হার ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। মেয়াদের আগে ভাঙালে মুনাফা আরও কম। তিন বন্ডেই বিনিয়োগের বিপরীতে পাওয়া মুনাফা করমুক্ত।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড বিভিন্ন দামে কেনা কেনা যায়। ২৫ হাজার, ৫০ হাজার, ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ, ১০ লাখ ও ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত এই বন্ড কেনা যায়।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের মুনাফার হার

যাঁরা কিনতে পারবেন

ক) বৈধ ওয়েজ আর্নার নিজে বা আবেদনপত্রে উল্লিখিত ব্যক্তি বা বাংলাদেশে তাঁর সুবিধাভোগীর নামে বাংলাদেশি টাকা/ বৈদেশিক মুদ্রায় কেনা যায়;

(খ) বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই বন্ড কিনতে পারেন;

(গ) বিদেশে লিয়েনে কর্মরত সরকারি, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত অথবা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নির্ধারিত শর্তপূরণ সাপেক্ষে এই বন্ড কিনতে পারেন।

আরও পড়ুন

ওয়েজ আর্নার বন্ডের অন্যান্য সুবিধা

(ক) ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুঝুঁকির সুবিধা রয়েছে

(খ) ছয় মাস পরপর মুনাফা দেওয়া হয়

(গ) বন্ডের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা আছে

(ঘ) নমিনি নিয়োগ/পরিবর্তন ও বাতিল করা যায়

(ঙ) হারিয়ে গেলে, পুড়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট বন্ড দেওয়া হয়

(চ) বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব থাকার বাধ্যবাধকতা নেই

(ছ) এই বন্ডে বিনিয়োগকৃত অর্থ ও অর্জিত মুনাফা আয়করমুক্ত

(জ) এ বন্ডের মূল অর্থ মার্কিন ডলারে গ্রহণ করার সুযোগ আছে

কোথায় ও কীভাবে পাবেন

প্রবাসী বন্ড কিনতে হলে লাগবে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, বৈধ ভিসার কপি, চাকরির প্রমাণপত্র আর বাংলাদেশে একটি সঞ্চয়ী হিসাব। ব্যবসায়ী হলে লাগবে ট্রেড লাইসেন্স, পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে পেশার সনদপত্র।

বাংলাদেশ ব্যাংক, এক্সচেঞ্জ হাউস, এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ও তফসিলি ব্যাংকের বিদেশি ও অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখায় এসব বন্ড কেনা যায়। এ বন্ডের মুনাফা আয়করমুক্ত। আবার বন্ডের বিপরীতে ঋণ নেওয়ার সুযোগও আছে। এ ছাড়া বন্ড কিনতে ফরেন কারেন্সি বা বৈদেশিক মুদ্রায় (এফসি) হিসাব থাকারও বাধ্যবাধকতা নেই।