আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন আজ

২৬ নভেম্বর পর্যন্ত গত অর্থবছরের একই তারিখের চেয়ে রিটার্ন জমা বেড়েছে ৬৩,১৯৯টি।

এ বছর ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত গত বছরের একই সময়ের চেয়ে আয়কর আদায় কমেছে ১৯৩ কোটি টাকা।

করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়তে পারে বলে অনেকের ধারণা ছিল। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম জানিয়ে দিয়েছেন, অন্য সব কার্যক্রম যেখানে স্বাভাবিক, তাই এবার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না। গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বরই (আজ সোমবার) রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

আরও পড়ুন

সময় না বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এরই মধ্যে ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। করোনার মধ্যেও কোনো কিছু থেমে নেই। অর্থনীতিসহ সবকিছু স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। তাই আয়কর রিটার্নের সময় বাড়ানো হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের সদস্য আলমগীর হোসেন, অপূর্ব কান্তি দাশ ও হাফিজ মোর্শেদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ যদি আয়কর রিটার্ন জমা না দেন, সে ক্ষেত্রে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, নির্ধারিত সময়ে যাঁরা আয়কর রিটার্ন দিতে পারবেন না, তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করতে পারবেন। তবে ২ শতাংশ জরিমানার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। কোনো গ্রাহক সঠিক সময়ে কেন রিটার্ন জমা দিতে পারেননি, তার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে জরিমানা মওকুফ করা হবে। কর কমিশনারের কাছে যদি কারণ যৌক্তিক মনে না হয়, তবে জরিমানা গুনতে হবে।
আয়কর আইন অনুযায়ী করদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপ-কর কমিশনার রিটার্ন জমা দিতে দুই মাস সময় দিতে পারেন। তবে করদাতাকে সেই ক্ষেত্রে ২ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জরিমানার বিষয়ে এনবিআর নমনীয় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, এ বছর ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রিটার্ন দাখিল হয় ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫টি, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৬টি। সেই হিসাবে এক বছরে রিটার্ন বেড়েছে ৬৩ হাজার ১৯৯টি। তবে একই সময়ে আয়কর আদায় কমেছে ১৯৩ কোটি টাকা। এ বছর ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্নের সঙ্গে কর পরিশোধ হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে রিটার্নের সঙ্গে কর পরিশোধ হয়েছিল ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আয়কর রিটার্ন কীভাবে আরও সহজ করা যায়, তা নিয়ে কাজ চলছে। এ বছর থেকে এক পাতার রিটার্ন করা হয়েছে, যাতে করদাতা সহজে রিটার্ন দিতে পারেন।