পাসপোর্টের মাধ্যমে টিআইএন মিলবে

এখন থেকে পাসপোর্টের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ (টিআইএন) নেওয়া যাবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ই-টিআইএন সিস্টেমে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও পাসপোর্টের তথ্য ব্যবহার করে ই–টিআইএন নেওয়ার ব্যবস্থা আগেই ছিল। কিন্তু এক ব্যক্তি একাধিক টিআইএন নেওয়ায় বছরখানেক আগে এই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ই-টিআইএন নেওয়ার ব্যবস্থাটি চালু রাখা হয়। কিন্তু প্রবাসীদের কথা বিবেচনা করে এখন আবার পাসপোর্টের মাধ্যমে ই-টিআইএন নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলো।

এ নিয়ে এনবিআর সম্প্রতি একটি আদেশ জারি করেছে। এতে বলা হয়, পাসপোর্ট ও এনআইডির তথ্য দিয়ে ই–টিআইএন নেওয়ার সুযোগ থাকায় অনেকে একাধিক টিআইএন নিয়েছেন। এতে জালিয়াতির সুযোগ তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর পাসপোর্টের মাধ্যমে টিআইএন নেওয়ার সুযোগ স্থগিত করা হয়। এরপর থেকে শুধু এনআইডি দিয়েই টিআইএন নেওয়া যেত। কিন্তু প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের এনআইডি না থাকায় তাঁরা টিআইএন নিতে পারছিলেন না। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর আবার পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে টিআইএন নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।

বর্তমানে বাড়ি, গাড়ি ও জমি নিবন্ধন; বিদ্যুৎ-সংযোগ ও ক্রেডিট কার্ড প্রাপ্তি এবং জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রমতে, কর ফাঁকি দিতে অনেকে পাসপোর্টের মাধ্যমে একটি এবং এনআইডির মাধ্যমে আরেকটি টিআইএন নিয়ে থাকেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৫২ লাখ ৭২ হাজার টিআইএনধারী আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে ২০-২২ লাখ টিআইএনধারী আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়ে এনবিআরে রিটার্ন জমা দেন। বাকিরা রিটার্ন জমা দেন না। তবে শুধু ক্রেডিট কার্ড নেওয়া, জমি বেচাসহ কিছু কাজে টিআইএন নিলেই রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।