রিটার্ন দিয়েছেন তো, বাকি আছে চার দিন

আর মাত্র চার দিন বাকি আছে। ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমার জন্য আপনি সময় পাবেন আজকে নিয়ে পাঁচ দিন। আগামী বৃহস্পতিবার এই সময়সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে রিটার্ন জমার সব কাজ শেষ করতে হবে।

করোনার কারণে এবার বিশেষ বিবেচনায় এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। সময় শেষ হওয়ার আগে ভিড় এড়াতে রিটার্ন দিয়ে ফেলুন। বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ৩০ নভেম্বর এনবিআর তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে এক মাস সময় বাড়িয়েছে।

যাঁরা এখনো রিটার্ন জমার প্রস্তুতি নেননি, তাঁরা এখনই প্রস্তুতি নিন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে ব্যাংকের হিসাবের বিবরণীসহ অন্যান্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তারপর রিটার্ন ফরম পূরণ করার পাশাপাশি করের টাকার পরিশোধের পে–অর্ডার করতে হবে। সবশেষে কর কার্যালয়ে গিয়ে রিটার্ন জমা দিতে হবে। মনে রাখবেন, কর অঞ্চল-৬–এর করদাতা ছাড়া আর কোনো করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন না।  

বর্তমানে ৫২ লাখ ৭২ হাজার কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি রিটার্ন দিয়েছেন।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে বহু করদাতার আয় কমেছে। ফলে নির্ধারিত সময় শেষের দিকেও তাঁরা রিটার্ন দিতে আগ্রহ দেখাননি। তাঁদের জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য এ নিয়ে কম নাটক হয়নি। ২৯ নভেম্বর এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে কোনো অবস্থায় রিটার্ন জমার সময় বাড়ানো হবে না। এনবিআরের চেয়ারম্যানের এই ঘোষণার পরের দিন অর্থাৎ শেষ দিনে সামাজিক দূরত্বকে তোয়াক্কা না করেই রাজধানীর বিভিন্ন কর কার্যালয়ে করদাতাদের প্রায় উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। কিন্তু দুপুরের পর তিনটার দিকে এনবিআরের পক্ষ থেকে এক মাস সময় বাড়ানোর ঘোষণা আসে।

বর্তমানে ৫২ লাখ ৭২ হাজার কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি রিটার্ন দিয়েছেন। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসে আরও দুই লাখের মতো রিটার্ন জমা পড়েছে।

প্রতিবছর গড়ে ২০-২২ লাখ রিটার্ন জমা পড়ে। নির্ধারিত সময়ে কোনো টিআইএনধারী যদি রিটার্ন জমা দিতে না পারেন, তাহলে সময় বাড়াতে পারবেন। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে দুই থেকে চার মাস সময় বাড়ানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে নির্ধারিত করের ওপর মাসিক ২ শতাংশ সুদ গুনতে হবে।