টিসিবির জন্য ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে

সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করার জন্য সয়াবিন তেল, কুঁড়ার তেল (রাইস ব্র্যান অয়েল) ও মসুর ডাল কিনছে সরকার। শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ, মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস ও সিটি এডিবল অয়েলের কাছ থেকে পণ্য তিনটি কিনতে সরকারের মোট খরচ পড়বে ২৫৪ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব পণ্য ক্রয়ে তিনটি আলাদা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান এ তথ্য জানান।

সাঈদ মাহবুব খান বলেন, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শবনম ভেজিটেবল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় ছয় হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম পড়বে ১১০ টাকা ৯৭ পয়সা।

সিটি এডিবল অয়েল থেকে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে ১২৫ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৬ টাকা ৩৮ পয়সা। এ ছাড়া মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস থেকে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান বা কুঁড়ার তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি লিটার ১৫৬ টাকা ২৫ পয়সা হিসাবে এ তেল কিনতে খরচ হবে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই তিনটিসহ ক্রয় কমিটিতে আজ বিদ্যুৎ বিভাগের পাঁচটি; জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের তিনটি করে; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি করে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি করে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

মোট ২৫টি প্রস্তাবের বিপরীতে ১৪ হাজার ৪৫৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এই অর্থের মধ্যে সরকারের অংশ ১৩ হাজার ৯৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বাকি ৫০২ কোটি ২২ লাখ টাকার সংস্থান আসবে দেশি ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে।