মানুষের মস্তিষ্কে প্রথমবারের মতো চিপ স্থাপন হয়েছে, জানিয়েছেন ইলন মাস্ক

ইলন মাস্কছবি: রয়টার্স

এই প্রথমবারের মতো মানুষের মস্তিষ্কে একটি চিপ স্থাপন করা হয়েছে। অতি ক্ষুদ্র এই চিপ তৈরি করেছে ইলন মাস্কের কোম্পানি নিউরালিংক। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ওই রোগী এখন ভালোভাবে সেরে উঠছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নিউরালিংক একটি ব্রেইন–চিপ স্টার্টআপ কোম্পানি, যেটি প্রতিষ্ঠা করেছেন টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। গত সোমবারে সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, প্রাথমিক ফলাফলে মস্তিষ্কের নিউরনের আশাপ্রদ সাড়া লক্ষ করা গেছে।

এই সাড়া বা স্পাইক নিউরনের কার্যকলাপ। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ একে বর্ণনা করছে এমন কোষ হিসেবে, যা মস্তিষ্ক ও শরীরে তথ্য পাঠানোর জন্য বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক সংকেত ব্যবহার করে।

গত বছর নিউরালিংককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মানুষের শরীরে চিপ বসানোর প্রথম পরীক্ষাটি চালাতে অনুমতি দিয়েছিল। যেসব মানুষ প্যারালাইসিসে ভুগছেন কিংবা নানা রকম নিউরোলোজিক্যাল বা স্নায়বিক সমস্যায় রয়েছেন, তাদেরকে সাহায্য করার জন্যই এই কোম্পানি কাজ করতে চায়। ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওই অনুমতিকে তাই একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গত সেপ্টেম্বরে নিউরালিংক জানায় যে মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাতে লোক জোগাড় করার অনুমতি তারা পেয়েছে।

এই পরীক্ষায় একটি রোবট মস্তিষ্কের একটি বিশেষ এলাকায় সার্জারি করে একটি ব্রেইন–কম্পিউটার ইন্টারফেস (বিসিআই) স্থাপন করে। মস্তিষ্কের ওই বিশেষ এলাকাটি মানুষের নড়াচড়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে নিউরালিংক এর আগে জানিয়েছিল। কোম্পানিটি চায়, মানুষ যেন কেবল তার চিন্তার মাধ্যমেই একটি কম্পিউটার কারসর কিংবা কি–বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

নিউরালিংক জানিয়েছে, চিপের মধ্যে যে ‘অতি সূক্ষ্ম’ সুতার মতো বস্তু আছে, তা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মানুষের মস্তিষ্কে সংকেত পাঠাতে সাহায্য করে।

প্রথম যে পণ্যটি নিউরালিংক তৈরি করেছে, তাকে তারা চিহ্নিত করছে ‘টেলিপ্যাথি’ নামে। এক্সে দেওয়া আরেকটি পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।

কোম্পানিটি প্রাইম স্টাডি নামে তারবিহীন ব্রেইন–কম্পিউটার ইন্টারফেসের যে পরীক্ষা চালিয়েছে, তার লক্ষ্য হলো মস্তিষ্কে চিপ স্থাপন ও শল্য কার্যক্রমে ব্যবহার করা রোবট কতটা নিরাপদ তার মূল্যায়ন করা।

আরও বিস্তারিত জানার জন্য রয়টার্স নিউরালিংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোম্পানিটি কোনো সাড়া দেয়নি।