বাংলাদেশি এসি রপ্তানিও হয়

এসিপ্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

একসময় দেশের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) চাহিদার শতভাগ পূরণ হতো বিদেশ থেকে আমদানি করে। সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। চাহিদার বড় অংশ পূরণ হচ্ছে দেশে উৎপাদিত এসির মাধ্যমে। শুধু তা–ই নয়, দেশে উৎপাদিত এসি এখন বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, সর্বশেষ অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিদেশে এসি রপ্তানি হয়েছে ১৪ লাখ ২৬ হাজার ডলারের, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) যা ছিল ৮ লাখ ৮১ হাজার ডলার। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় এসি রপ্তানি করে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ডলার বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ডলারের এসি।

অবশ্য এসির রপ্তানি বাজার এখনো ছোট। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বাজার নিয়েই ব্যস্ত বেশি।

দেশীয় ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন বিদেশে এসি রপ্তানি করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির বৈশ্বিক ব্যবসা বিভাগের প্রধান আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়ালটন ২০টির মতো দেশে এসি রপ্তানি করছে। বৈশ্বিক বাজারে চীনের আধিপত্য বেশি থাকলেও আমরা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে রপ্তানি বাজার বড় করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

বিদেশের বাজারে উন্নত প্রযুক্তির এসির চাহিদাই বেশি। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মনিকা ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের রপ্তানিমুখী নীতির কারণে বাংলাদেশ থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। আমরাও বিদেশের মাটিতে যমুনা ব্র্যান্ডকে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। ভারতে আমরা ইতিমধ্যেই রেফ্রিজারেটর রপ্তানি করেছি। এসি রপ্তানি নিয়েও আলাপ-আলোচনা চলছে।’