মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তাজমহল রোডে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এক কোটি পরিবার কার্ডধারীর মধ্যে চলতি জানুয়ারি মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছেন, ‘যারা সৎভাবে ব্যবসা করবে, তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। তবে যারা মজুতদারি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধির চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে সরকার একটুও পিছপা হবে না।’

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তাজমহল রোডে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে এক কোটি পরিবার কার্ডধারীর মধ্যে চলতি জানুয়ারি মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম  সফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সলিম উল্লাহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখানো সরকারের উদ্দেশ্য না। আমরা সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চাই। সরবরাহব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি হলে সবার সঙ্গে কথা বলে তা সমাধান করা হবে। তবে কেউ মজুতদারি করলে সরকার কঠোর হতে পিছপা হবে না। ডিলাররাও (সরবরাহকারী) যাতে জবাবদিহির আওতায় আসে, সে জন্য প্রতিবছর তাদের নিয়োগ নবায়ন করা হবে।’

আগামী পবিত্র রমজান মাস পর্যন্ত টিসিবির পণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সরবরাহ ঘাটতি হবে না বলে জানান আহসানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা তেল, চিনি নিয়ে উৎপাদকদের সঙ্গে আলোচনা করব। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য পণ্য নিয়েও আলোচনা করা হবে। আগামী রমজান পর্যন্ত কোনো পণ্যের সংকট হবে না।’

টিসিবির কার্যক্রমকে আরও বিস্তৃত করা হবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। আহসানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা টিসিবির কার্যক্রমকে ট্রাক থেকে দোকান (ডিলারের) পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখন এ কার্যক্রম যেন ন্যায্যমূল্যের দোকানের মতো হয়, সে জন্য কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী তৈরি পোশাক ও অন্যান্য খাতের শ্রমিকদের টিসিবির কার্যক্রমের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আলোকে শ্রমিকদের জন্য আলাদা কার্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমান এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ২০ লাখের স্মার্ট কার্ড তৈরি হয়ে গেছে। সেগুলো বিতরণ চলছে।’

সরকারি সংস্থা টিসিবি প্রতি মাসে একবার দেশের এক কোটি পরিবারের মধ্যে পণ্য বিক্রি করে থাকে। টিসিবি জানিয়েছে, এ দফায় প্রত্যেক কার্ডধারীকে পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল দেওয়া হবে। মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, চাল ৩০ টাকা ও সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা দামে বিক্রি করছে টিসিবি। তবে চলতি মাসের বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় আজ এক কেজি করে চিনিও দেওয়া হয়েছে। রোজার সময় এসব পণ্যের সঙ্গে সারা দেশে ছোলা ও ঢাকা শহরের মধ্যে খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।

টিসিবি জানিয়েছে, নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি এক মাস চলবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা।