মুরগির দাম কমেছে, ডিম একটু বাড়তি

সরকারের বেঁধে দেওয়া খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকার পরিবর্তে কিনতে হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি উভয় মুরগির দাম কমেছে। তবে একটু বাড়তির দিকে মুরগির ডিমের দাম। ফার্মের মুরগির বাদামি ও সাদা উভয় ডিমের দাম বেড়েছে। অবশ্য হাঁস ও দেশি মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল। বাজারে সবজির দামে স্বস্তি আসতে শুরু করেছে। আর সরু চালের দাম একটু কমলেও মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ডাল, সয়াবিন তেল, আটা-ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। মাছের বাজারের অবস্থাও গত সপ্তাহের মতো।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম পড়ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে।

আরও পড়ুন

তবে বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ও সাদা ডিম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বাদামি রঙের ডিম প্রতি ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা ও সাদা রঙের ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা রাখা হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় বাদামি ডিমের হালি পড়ছে ৫০ টাকা।

গত ঈদের সময় মুরগির দাম বেশি ছিল, ডিমের দাম কম ছিল। এখন মুরগির দাম কমছে।
পোলট্রি ব্যবসায়ী আহমদ আলী

মগবাজারের পোলট্রি ব্যবসায়ী আহমদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত ঈদের সময় মুরগির দাম বেশি ছিল, ডিমের দাম কম ছিল। এখন মুরগির দাম কমছে। বেড়েছে ডিমের দাম। তবে বাজার অনেক বেশি ওঠানামা করছে তা বলা যাবে না।

গত সপ্তাহের তুলনায় বেশির ভাগ সবজির দাম প্রতি কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। মাছের বাজারের অবস্থাও গত সপ্তাহের মতো। কিন্তু এখনো বাড়তি পেঁয়াজ ও আদার দাম। খুচরায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আর আদার দাম পড়ছে খুচরায় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর চীনা আদা বাজার থেকে উধাও।

আরও পড়ুন

সরকারের বেঁধে দেওয়া খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকার পরিবর্তে কিনতে হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

মগবাজারের বাসিন্দা শারমীন সুলতানা বাজার করে বাসায় ফেরার পথে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের দাম গত এক বছরে যেভাবে বেড়েছে, তাতে দুজনে আয় করেও তিন সন্তানের পড়াশোনাসহ পাঁচজনের সংসার চালাতে টানাটানি পড়ে যায়। বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।