উদ্বৃত্ত আলুর তুলনায় রপ্তানি সামান্যই

আলু
ফাইল ছবি

২০২১-২২ অর্থবছরে দেশ থেকে মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মাত্র ৮০ হাজার মেট্রিক টন গোল আলু রপ্তানি হয়েছে। দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে যে পরিমাণ আলু উদ্বৃত্ত থাকে, সেই তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ খুবই সামান্য। যেমন দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ মেট্রিক টন আলু উদ্বৃত্ত থাকে।

রপ্তানির পরিমাণ কম হওয়ার বড় কারণ হলো, রপ্তানির উপযোগী মানসম্মত আলু এদেশে তেমন উৎপাদিত হচ্ছে না। সে জন্য গতকাল বুধবার যশোরে এক কর্মশালায় টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গুণগত মানসম্মত আলু উৎপাদনের জন্য কৃষকদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ‘মানসম্পন্ন উপায়ে রপ্তানিযোগ্য কন্দাল (মাটির নিচের) ফসল উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানি’ শীর্ষক দিনব্যাপী এই উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। যশোর সদর উপজেলা মিলনায়তনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত এই কর্মশালায় ৬০ জন কৃষি উদ্যোক্তা অংশ নেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালাটির উদ্বোধনী পর্বের বক্তব্যে প্রকল্প পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘দেশে বছরে গোল আলুর চাহিদা রয়েছে ৭০ থেকে ৮০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে গত অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। ফলে উদ্বৃত্ত থাকে ৩০ থেকে ৪০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৮০ হাজার মেট্রিক টন।’

কর্মশালায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শুধু আলু নয়, রপ্তানির জন্য মাটির নিচের আট ধরনের মানসম্মত কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরা অঞ্চল থেকে আলুর পাশাপাশি ৯৭ মেট্রিক টন ওলকচুও বিদেশে রপ্তানি হয়েছে।

কর্মশালায় জানানো হয়, আলু ও ওলকচু ছাড়াও আলুর চিপস ৪৯০ মেট্রিক টন, আলুর ফ্লেক্স ২৯০ মেট্রিক টন, আলুর প্লেট ১০ মেট্রিক টন, আলুর ক্র্যাকার্স ১২৬ মেট্রিক টন, কচুর মুখী ৫০ মেট্রিক টন, কচুর লতি ২২৬ মেট্রিক টন, কচুশাক ২৫ মেট্রিক টন, লতি ও কচুর ডাঁটা ৯ মেট্রিক টন রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক এখলাস উদ্দীন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মনজুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যশোর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন প্রমুখ।