চাহিদা বৃদ্ধির রেকর্ড হবে, সরবরাহ কমে দাম বাড়বে

জ্বালানি তেল
ফাইল ছবি: রয়টার্স

চলতি ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী একদিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বৃদ্ধির রেকর্ড হবে, অন্যদিকে পণ্যটির সরবরাহ কমবে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাবে। এই খাতের বৈশ্বিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (আইইএ) এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

আইইএ মনে করে, এ বছর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দৈনিক চাহিদা বেড়ে ১০১ দশমিক ৯ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ১৯ লাখ ব্যারেলে উন্নীত হতে পারে, যা গত বছরের তুলনায় ২০ লাখ ব্যারেল বেশি। এতে বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেল সরবরাহে ভারসাম্যহীনতা বাড়বে এবং দাম সম্ভবত আরও ওপরে উঠবে। কারণ, ইতিমধ্যেই জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে, যা মূল্যবৃদ্ধির শঙ্কা তৈরি করছে। আইইএর সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়েছে।

জ্বালানি খাতের বৈশ্বিক সংস্থাটির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে জ্বালানি তেলের বর্ধিত চাহিদার ৮৭ শতাংশই আসবে উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলো থেকে। আর এই চাহিদার অর্ধেকই হতে পারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের। কারণ, দেশটিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় শুরু হয়েছে।

বৈশ্বিক বাজারে তেল সরবরাহ এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের সদস্যসহ আরও কিছু রপ্তানিকারক দেশ এ মাসের গোড়ার দিকে দৈনিক তেল উত্তোলনের পরিমাণ ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে ওপেকের সদস্য রাশিয়া চলতি ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিদিন তেল উত্তোলনের পরিমাণ পাঁচ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত কমাবে।

ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (আইইএ) বলেছে, ‘সম্প্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনের পরিমাণ কমানোর যে ঘোষণা এসেছে, তাতে পণ্যটির মূল্য বৃদ্ধি পাবে। ভোক্তারা এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছেন। এ রকম অবস্থায় তেলের উচ্চমূল্যের কারণে তাঁরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বিশেষ করে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির ভোক্তারা বেশি বিপাকে পড়বেন।

গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে তেলের বাজারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এতে একপর্যায়ে তেলের দাম তিন অঙ্কে মানে ১০০ মার্কিন ডলারে ওঠে। এরপর অবশ্য দাম কমে। কিন্তু ওপেক সদস্যরা নতুন করে তেল উত্তোলনে কাটছাঁট করার ঘোষণায় দাম আবারও বাড়তে পারে।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে গতকাল শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড তেল ৮২ দশমিক ৭১ মার্কিন ডলারে আর ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ৮৬ দশমিক ৬৩ ডলার দরে বিক্রি হয়েছে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার