শীত বাড়ছে, চাঙা হচ্ছে ব্লেজারের বেচাকেনা

ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্রে একেকটি ব্লেজার সাড়ে চার হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার টাকায় বিক্রি হয়। তবে নন–ব্র্যান্ডের ব্লেজারের দাম কিছুটা কম।

ডিসেম্বরের শুরুতে শীত কম থাকলেও মাসের শেষে বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই চাঙা হয়ে উঠছে ব্লেজারের বেচাকেনা।
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ডিসেম্বরের শুরুতে শীত কম থাকলেও মাসের শেষে বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই চাঙা হয়ে উঠছে ব্লেজারের বেচাকেনা। সাধারণত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি—শীতকালের এই তিন মাসকে ব্লেজার বিক্রির মৌসুম। ক্রেতাদেরও একটি বড় অংশ এ সময় সোয়েটার বা চাদরের পরিবর্তে ব্লেজার পরতে পছন্দ করেন।

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, কেরানীগঞ্জ, মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে ব্লেজারের বেশ কিছু মার্কেট রয়েছে। এলিফ্যান্ট রোডে ব্লেজার ও স্যুট বিক্রির শতাধিক দোকান ও কারখানা আছে। আর কেরানীগঞ্জে আছে বড় পাইকারি বাজার। সেখান থেকে সারা দেশে সাশ্রয়ী দামের ব্লেজার যায়। এর বাইরে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোয় আছে বেশ কিছু ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্র।

ব্যবসায়ীরা জানান, ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্রে রেডিমেড বা তৈরি ব্লেজারের দাম সাড়ে চার হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে কমপ্লিট স্যুটের দাম সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর দরজির দোকানে কার্যাদেশ দিয়ে বানালে খরচ নির্ভর করবে কাপড়ের দামের ওপর। তবে সংখ্যার হিসাবে রেডিমেড ব্লেজারই বেশি বিক্রি হয়। সেখানে আবার এগিয়ে নন–ব্র্যান্ডের ব্লেজার, দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে।

টপটেন ফেব্রিকস অ্যান্ড টেইলার্সের কাঁটাবন শাখার কাটিং মাস্টার মো. হাফিজুর রহমান জানান, তাঁদের কাছে দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে লাখ টাকার বেশি দামের ব্লেজারের কাপড় রয়েছে। সচরাচর ভাঁজ পড়ে না, এমন কাপড়ের ব্লেজার গ্রাহকেরা বেশি পছন্দ করেন।

পোশাকের ব্র্যান্ড জেন্টেল পার্কের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. আসাদ হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর তাঁদের বেচাকেনা ভালো। বর্তমানে দিনে তাঁদের ৭০-৮০ হাজার টাকার ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

আরেক ব্র্যান্ড ফিট এলিগেন্সের বসুন্ধরা সিটি শপিং সেন্টার শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইমরান হোসেন জানান, তাঁদের স্যুট ও ব্লেজারের সমান চাহিদা। পণ্যের দাম হিসেবে বিক্রি ভালো হলেও সংখ্যার হিসাবে কিছুটা কমেছে। ব্লেজার ক্রয়ে গ্রাহকদের পছন্দে বৈচিত্র্য আসছে। আগে প্রবীণ মানুষ চেক ও তরুণেরা এক রঙের ব্লেজার পছন্দ করতেন। এখন তরুণদের মধ্যে চেক কাপড়ের ব্লেজার জনপ্রিয় হচ্ছে।

ব্র্যান্ডের বেচাকেনা ভালো হলেও আশানুরূপ বেচাকেনা না হওয়ার কথা জানিয়েছেন নন–ব্র্যান্ডের ব্লেজার বিক্রেতারা। চন্দ্রিমা সুপারমার্কেটের ব্লেজারের দোকান রিল্যাক্স ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এবার শীত একটু কম। আবার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা মূল্যস্ফীতির চাপে আছেন। এই দুই কারণে বেচাকেনা অনেক কম।

বছরের ৯ মাস পাঞ্জাবি বিক্রি করে রাজধানীর নিউমার্কেটের পোশাকের দোকান হাজী পাঞ্জাবি পয়েন্ট। তবে শীতের তিন মাসে তারা শুধু ব্লেজার বিক্রি করে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক মো. দিদার আলম বলেন, ‘এ মৌসুমে ১ হাজার ২০০ ব্লেজার দোকানে তুলেছি। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬০০ পিসের মতো বিক্রি করতে পেরেছি। এটা গত বছরের তুলনায় অনেক কম।’