এলডিসি উত্তরণে বাণিজ্য সহজীকরণের পথনকশা বাস্তবায়ন জরুরি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বা বাণিজ্য সহজীকরণের রোডম্যাপ বা পথনকশা বাস্তবায়ন জরুরি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা দক্ষতা ও প্রতিযোগিতাসুলভ মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশন মাল্টিপারপাস হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) অষ্টম সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। খবর বিজ্ঞপ্তি

২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে এলডিসি থেকে উত্তরণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এই উত্তরণের কারণে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আরোপিত হবে বলে উল্লেখ করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। বলেন, সে কারণে অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে, তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। সে কারণে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে দক্ষতার মাধ্যমে। এ ছাড়া বিকল্প নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে; এটা দীর্ঘ সময়। যদি ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে আমাদের উত্তরণ হয় এবং দেশের ক্রিয়াশীল সব গোষ্ঠী একসঙ্গে কাজ করে, তাহলে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।’
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।’

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব), বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ (এফটিএ) কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য–সম্পর্কিত বিধিবিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।

ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্টের আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে তিনটি (এ, বি, সি) ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এই ক্যাটাগরির ২১টি কার্যক্রম বাস্তবায়নসংক্রান্ত নোটিফিকেশন ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ডব্লিউটিওতে পাঠানো হয়। বি ক্যাটাগরির ১৮টি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ভিন্ন ভিন্ন সময়সীমা নির্ধারিত ছিল।