স্বদেশ ইসলামী লাইফের নিবন্ধন স্থগিত

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের নিবন্ধন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে। আইডিআরএ আজ সোমবার স্বদেশ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোম্পানি সচিবকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। আইন লঙ্ঘন করে কোম্পানির স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) বিপরীতে নেওয়া ঋণের অর্থ আত্মসাৎ এবং পরিচালনা পর্ষদ গঠনে আইডিআরএর নির্দেশ পরিপালন না করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আজ থেকেই কার্যকর হয়েছে।

আইডিআরএ চিঠিতে বলেছে, স্বদেশ ইসলামী লাইফের পরিশোধিত মূলধনের অর্থ তফসিলি ব্যাংকে দায়মুক্তভাবে জমা রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু স্বদেশ লাইফের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান বিমা আইন লঙ্ঘন করে বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংকে জমা থাকা এফডিআর লিয়েন রেখে ১৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। আবার ঋণ নেওয়ার তথ্য আইডিআরএকে জানানো হয়নি এবং কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনেও তা প্রতিফলিত হয়নি।

চিঠিতে বলা হয়, গত ৪ ডিসেম্বর স্বদেশ ইসলামী লাইফের নিবন্ধন কেন স্থগিত করা হবে না—এ মর্মে ৩০ দিন সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আইডিআরএ। সময়সীমা শেষ হলেও কোম্পানি কোনো জবাব দাখিল করেনি। সে জন্য এক মাস পর গত ৪ জানুয়ারি কোম্পানিটির ১১ পরিচালককে অপসারণ করা হয়েছে।

অপসারিত পরিচালকেরা হলেন স্বদেশ লাইফের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান, পরিচালক শামসুন্নাহার রহমান, মদিনাতুন নাহার, মো. মারজানুর রহমান, মো. বাহারুল আহসান, ফারাহ আহসান, ফিরোজুল আহসান, কামরুল আহসান, এ টি এম আবদুল মান্নান, নুরুল আলম চৌধুরী ও মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম।

এদিকে আহসান গ্রুপের (এজি) চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানসহ কোম্পানির বাকি পাঁচ পরিচালক মোহাম্মদ হারুন, শেখ মোহাম্মদ মাসুম, ইউনুস ভূঁইয়া ও বেলাল হোসেনকে পর্ষদ পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তাঁরা তা করেননি বলে জানা গেছে। স্বদেশ লাইফের বেশির ভাগ পরিচালক রতনপুর গ্রুপ ও এজি গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। এর আগে ২০১৫ সালে আইডিআরএ অগ্নিবিমায় অনিয়মের দায়ে স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্সের নিবন্ধনও স্থগিত করেছিল।