বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা চালু করার অর্থ হলো, এখন আগের চেয়ে বেশি পণ্য বোঝাই করে বন্দরের জেটিতে বড় জাহাজ ভেড়ানো যাবে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন কমবে, তেমনি জেটিও কম লাগবে। এ ছাড়া বন্দর থেকে সরাসরি বিভিন্ন দেশে কনটেইনারবাহী জাহাজসেবা চালুর সুযোগও বাড়বে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়েলিংফোর্ডের সমীক্ষা প্রতিবেদনের সুপারিশ করার পরিপ্রেক্ষিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ বড় জাহাজ ভেড়ানোর উদ্যোগ নেয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে বড় জাহাজ ভেড়ানো যেতে পারে। এরপরই গত ১৫ জানুয়ারি বন্দরের জেটিতে ভেড়ানো হয় এমভি কমন অ্যাটলাস নামের ২০০ মিটার লম্বা একটি জাহাজ। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে ভেড়ানো হয় এমভি মেঘনা ভিক্টরি নামের আরেকটি জাহাজ।

চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৮৬ মিটার লম্বা ও ৯ দশমিক ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভেড়ানো যেত। এরপর আরও বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা চালু করা হয়। তাতে ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো শুরু হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর জোয়ার-ভাটানির্ভর একটি প্রাকৃতিক বন্দর। বন্দরের জাহাজ চলাচলের পথে পানির গভীরতা কম। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বাড়লে জাহাজগুলো বন্দরের নিজস্ব পাইলটের মাধ্যমে সাগর থেকে কর্ণফুলী নদী দিয়ে মূল জেটিতে আনা-নেওয়া করা হয়। অন্যদিকে গুপ্ত বাঁকে প্রশস্ততার সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে জাহাজের দৈর্ঘ্য বাড়াতে বড় বাধা ছিল। কারণ, গুপ্ত বাঁক দিয়ে প্রায় ৯০ ডিগ্রি ঘুরিয়ে জাহাজ জেটিতে আনা–নেওয়া করতে হয়।